পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

è a 8 আর্য্যাবর্ত । ৩য় বর্ষ-২য় সংখ্যা । অত্যন্ত দৃঢ়তা সহকায়ে সহজেই সে ভােব গোপন করিল ঘটে, কিন্তু আমি তাহা লক্ষ্য করিয়াছি। আমার বোধ হয়, সে চারুকে ভালবাসে। অমিয়নাথ মনে মনে হাসিল-তবে যে সুরেন্দ্র বলে নারীর প্রতি প্রেম কোন কোন মানুষের একটা দুৰ্বোধ্য দুৰ্বলতা-ব্যাধি-কেবল ঘন্ধুত্বই মানুষের স্বাভাবিক স্বৰ্গীয় বৃত্তি সে সুরেন্দ্রও চারুকে ভাল না বাসিয়া থাকিতে পারে নাই! না পারিবারই কথা । কবি কীটস বলিয়াছেন -“যাহা সুন্দর তাহা চির দিনই আনন্দের।” বড় ঠিক কথা । সে দিন অপ্রত্যাশিত সৌভাগ্যলাভসম্ভাবনায় অমিয়নাথ প্রফুল্প-উদার। সে বন্ধুর প্রতি বিরক্ত হইল না-তাহার জন্য দুঃখিত হইল । সে মনে মনে চারুশীলার চারু সৌন্দর্য্য ধ্যান করিতে করিতে চলিল । V অমিয়নাথ চলিয়া গেল । সুরেন্দ্রকুমার ভাবিতে লাগিল । আজি শৈশব হইতে আজ পর্য্যন্ত দীর্ঘ কালের কত কথা তাহার মনে হইতে লাগিল । শৈশব হইতে উভয়ে পরিচয়-এক বিদ্যালয়ে অধ্যয়ন, একত্র ভ্রমণ । শৈশবে এ উহাকে ক্ষুদ্র সুখ দুঃখের কথা জানাইত। তাহার পর বাল্যে ও যৌবনে সে বন্ধুত্ব স্নান হয় নাই। আজি পর্য্যন্ত তাহা অঙ্গুণ। সুরেন্দ্রকুমার हौद्दश्न उJiश कविल । ক্রমে অন্ধকার কুম্ভলে শুকতারার মাণিক পরিয়া সন্ধ্যা সমুদিত হইল। তাহার ধূসর আঁচল ধরার উপর লুটাইয়া পড়িল। সুরেন্দ্রকুমার ভাবিতে লাগিল। সে যেন চিন্তাসমুদ্রের কুল পাইতেছিল না । রাত্রি হইল। ভূত্য কক্ষে আলোক দিয়া গেল। সুরেন্দ্রকুমায় তাবিতে লাগিল। শেষে সে ভাবিল-অমিয়নাথ কুমারী দাসকে বিবাহ করিতে পাইবে না। সে কিসে আমা অপেক্ষা প্রার্থনীয় পাত্র ? আমরা উভয়েই ব্যবসায়ের । প্রবেশদ্বার কেবল অতিক্রম করিয়াছি । * তাহার স্কন্ধে বৃহৎ পরিবারের ভার স্যন্ত ; বিশেষ তাহার জ্যেষ্ঠ সহােদরের মৃত্যুতে সে পরিবারের আয়ের পথ অত্যন্ত সঙ্কীর্ণ হইয়াছে। আমার কেহ নাই ; অথচ আমি ধনীউপার্জনের জন্য আমার আগ্রহ নাই। তবে কোন গুণে সে আমা অপেক্ষা প্রার্থনীয় পাত্র। কুমারী দাসের পিতা অবশ্যই এ সব কথা বুঝিবেন। : সে উঠিল--বেশপন্ধিবর্ত্তন করিয়া দাস পরিবারের আঘাসগৃহাভিমুখগামী । হইল। তাহার হৃদয়ে দৃঢ় সঙ্কল্প, মুখে সুস্পষ্ট বোনাচিৎ। . . .