পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS7 আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ--২য় সংখ্যা । ” হোতাধিবর্ফাস্তথোদগীতা হয়েন সমযোজয়ন মহিষ্য পরিবৃত্ত্যাথি বাবাতামপরাং তথা ৷ আদি । ১৪ ৷৷ ৩৫ “পরে হোতা অধিবর্ঘ্য ও উদগাতারা দশরথের মহিষী এবং বৈশ্ব জাতীয়া পত্নী ও শূদ্র জাতীয়া পত্নীকে সেই অশ্বের সহিত সংযুক্ত করিলেন।” এই ব্যাপারটা মহাভারতে একেবারেই নাই। ইহাতে রীতিনীতির যে কতকটা পরিবর্তন সূচনা করিতেছে, তাহা অস্বীকার করিবার উপায় নাই । পরে দুই গ্রন্থেই ঐ যজ্ঞের অন্যান্য পদ্ধতিগুলি ঠিক একরূপই বর্ণিত হইয়াছে। যে সময় পবন-নন্দন লঙ্কার সকল স্থানে সীতাকে অন্বেষণ করিয়া অশোক বনে উপনীত হইয়াছিলেন, সেই সময় তথায় সুনির্ম্মল নদী দেখিয়া তিনি মনে করিয়াছিলেন ;- সন্ধ্যাকালামনাঃ শু্যামা ধ্রুবমেষ্যতি জানকী । নদীঞ্চেমাং শুভ জলাং সন্ধ্যার্থে বরবর্ণিনী ৷ Savs (see Y 8 8s যদি সেই বরবর্ণিনী শুষ্ঠােমা জানকী সন্ধ্যা করিবার সময় উপস্থিত হইয়াছে ইহা বুঝিতে পারেন, তাহা হইলে তিনি নিশ্চিতই সন্ধ্যা করিবার জন্য এই শুভজিলা নদীতে আগমন করিবেন । ইহাতে বুঝা যায়, তদানীন্তন দ্বিজাতি রমণীরা ত্রিসন্ধ্যা করিতেন। ঐ শ্লোকের দুই স্থানে সন্ধ্যা কথা রহিয়াছে। সন্ধ্যার সাধারণ লক্ষণে যোগী शांख्लवक्रJ दक्लिशाgछन ত্রিয়াণাঞ্চৈব বেদানাং ব্রহ্মদীনাং সমাগমঃ সন্ধি সর্ববসুরাণাঞ্চ তেন সন্ধ্যা প্রকীর্ত্তিতা ৷ ব্যাস বলিয়াছেন ;- গায়ত্রী নাম পূর্বাহ্নে সাবিত্রী মধ্যমে দিনে । সরস্বতী চ সায়াহ্নে সৈব সন্ধ্যা ত্রিষু স্মৃত ৷ তৈত্তিরীয় ব্রাহ্মণে লিখিত আছে * * * * “বাক্ষ্যমান প্রকারেণ প্রণায়ামাদিকং কুৰ্বন যথোক্ত নাম রূপোপেতং সন্ধ্যা শব্দস্য বাচ্যমাদিত্যং ব্রহ্মেতি ধ্যায়ন” ইত্যাদি । ইহাতে বুঝা যাইতেছে যে, গায়ত্রীসম্বলিত প্রণায়ামাদি পূর্বক দ্বিজাতির উপাসনাই সন্ধ্যা শব্দের বাচ্য। আর সন্ধ্যা অর্থে যদি কেবল দেবতার উপাসনাই বুঝাইবে, তাহা হইলে তাহার কালাকাল বিবেচনা