পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৯ ৷৷ অদৃষ্ট-চক্র s অদৃষ্ট-চক্র । দশম পরিচ্ছেদ । reovdelph আশা ও আশঙ্কা ধরণীধরের ছুটী ফুরাইলে তিনি আরও এক মাসের অবকাশ লইয়াছিলেন । বৈশাখের শেষভাগে তাহাও ফুরাইল। ধারণীধরের একবার মনে হইল, চাকরী হইতে অবসর লাইবেন । কিন্তু তিনি হিসাব করিয়া দেখিলেন, আর আট মাস চাকরী করিলেই তঁাহার মাসিক অবসর-বৃত্তির পরিমাণ কিছু অধিক হয়। তিনি স্থির করিলেন, এই আট মাস চাকরী করিয়া বাড়ী ফিরিবেন। তিনি দীর্ঘকাল কেবল হিসাব করিয়াছেন-চাকরীরও হিসাব করিয়াছেন, আপনিও হিসাব করিয়া চলিয়াছেন । কিন্তু এই হিসাবের বাহুল্য তঁহার চিত্তের কোমলতা দূর করিতে পারে নাই। অঙ্কশাস্ত্রের চর্চায় তিনি যেমন হিসাবী হইয়াছিলেন--সাহিত্যালোচনায় তেমনই তাহার কল্পনা বিকশিত হইয়াছিল। এইবার বিদ্যায়ের কথা মনে করিয়া ধরণীধরের মনে হইতে লাগিল-তিনি দিগন্ত বিস্তৃত মরুমধ্যে যে পথে চলিতেছিলেন এত দিনে সে পথের শেষ দেখা যাইতেছে-মরুপারে স্নিগ্ধসলিলোদগারীনিবারকলনাদমুখরিত-পুষ্পিত দ্রুমলতা শোভিত-জীবনকলরবধ্বনিত রম্য উপবন নয়নীগোচর হইতেছে । তঁহার মনে হইল-তিনি কর্ম্মকান্ত জীবনের সায়াহ্নে অতৃপ্ত পারিবারিক সুখলাভ-তৃষ্ণার তৃপ্তি করিতে পরিবেন, পুত্রপুত্রবধু লইয়া তিনি আবার সংসারী হইবেন । পরলোকগত পত্নীর কথা স্মরণ করিয়া ধরণীধরের নয়ন অশ্রুময় হইয়া উঠিতে লাগিল । যতীশচন্দ্রের বিবাহের পর ধরণীধর প্রায় দুই মাস গৃঙ্গে ছিলেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি পুত্রকে পত্নীর প্রেমে আকৃষ্ট করিবার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করিয়াছিলেন। এই দুই মাসের মধ্যে তিনি নানা আছিলায় যতীশকে কয়বার শ্বশুরালয়ে পাঠাইয়াছিলেন ও সরোজাকেও কয়বার নিজগৃহে ७भान्ग्रिांछिवान् । নববিবাহিত লুবক যতীশচন্দ্রও যে পত্নীর প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট হয়