পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S8S আর্য্যাবর্ত্ত ৩য় বর্ষ।--২য় সংখ্যা ? নাই এমন নহে। যৌবন জীবনের বসন্তকাল। বসন্তে যেমন বিহগকণ্ঠে কলাগান আপনি উচ্ছসিয়া উঠে-বৃক্ষলতায় ফুল আপনি ফুটিয়া উঠে— যৌবনে তেমনই হৃদয়ে প্রেম আপনি বিকশিত হয়। তখন প্রেম প্রেমাস্পদের সন্ধান করে, তরুণ তরুণীর আননে তিলোত্তমার সৌন্দর্য্য দর্শন করে । এই প্রেমবিকাশকালে যতীশচন্দ্র যে সরোজাকে পাইয়া পরম পুলকিত হইয়াছিল—তাহা বলাই বাহুল্য। তাহার কল্পনা স্নানের ঘাটে দৃষ্টা যে বালিকাকে নন্দনের সকল সৌন্দর্য্যে মণ্ডিতা করিয়া তুলিয়াছিল। সে যে তাহাকে লাভ করিবে এ আশা সে করিতে পারে নাই। অথচ তাহার সেই আশাই সফল হইয়াছিল। তাহার মত সুখী কে ? ধরণীধর লক্ষ্য করিয়াছিলেন, বিবাহের পূর্বে যতীশচন্দ্র কলিকাতায় যাইবার জন্য ব্যস্ত হইত-একটা ছুতা পাইলেই সে তাহার সাহিত্যিক বন্ধুদিগের সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইত-যাইবার সময় তাহার মুখে। যেমন আনন্দদীপ্তি দেখা যাইত-প্রত্যাবৃত্ত হইলে তাহার মুখে তেমন্তই বিরক্তির অন্ধকার লক্ষিত হইত। তিনি লক্ষ্য করিলেন, যতীশচন্দ্রের সে ভাবের পরিবর্তন হইতে লাগিল। পূর্বে সে যেন গৃহেই প্রবাসী ছিল ; এমন গৃহে তাহার আকর্ষণ অনুভূত হইতে লাগিল। আপনার ঘরখানি সাজাইতে—দ্রব্যাদি গুছাইতে তাহার উৎসাহ দেখা দিল । প্রেম সৌন্দর্য্যের সহচর। সে সুন্দর ভালবাসে । তাই হৃদয়ে প্রথম প্রণয়প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে যতীশচন্দ্রের হৃদয়ে গৃহ সুন্দর করিয়া সৌন্দর্য্যপ্রতিমা পত্নীর উপযুক্ত মন্দিরে পরিণত করিবার বাসনা প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল। ধরণীধর এ সব লক্ষণ লক্ষ্য করিতেন । তিনি লোক চরিত্রজ্ঞানভিজ্ঞ।-- এই সকল লক্ষণ লক্ষ্য করিয়া তিনি আশার আনন্দে আশঙ্কার বেদন দুর করিবার সম্ভাবনা দেখিয়া সুখী হইলেন । কিন্তু তিনি একেবারে নিঃশ্বন্ধ হইতে পারিলেন না । তিনি বুঝিলেন, পুত্র এখনও কেন্দ্রস্থ-স্থির হয় নাই ; তাহার চঞ্চল চিত্ত এখন যে ভাবে পুর্ণ তাহা স্থায়ী না হইলে আশঙ্কা দুর হইবে না-হইতে পারে না। তবে তিনি আশা করিলেন, পুত্রের হৃদয়ে সেই ভাৰ স্থায়ী হইবে-প্রেমের প্রভাবে সে সর্ব্ববিধ অমঙ্গল হইতে অর্যাহত্তি । পাইৰে । & বাস্তবিক যতীশচন্দ্র এখন তাহার সাহিত্যিক বন্ধুসমাজে মিশিবার জন্য DBD DBBDB DBBDBD BD SS DBDDBBDtBBD DDBLD BDB DBDDDBBDBBD