পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩১৯ । ৩ 外内忙<f{夺叫11 SV) . পাষণের কথা । ( R ) BDBDuDB KBtBDB DDDDLDBDB gLDB LOLL BDBB LgLBB KDD DDS DBBS ছিল। তোমাকে পূর্বে বলিয়াছি, মানবকে কত ভালবাসি, মনুষ্য-সংসর্গ কত ভালবাসিতাম, আজীবন মানবকরষ্পর্শে চালিত করিয়া আসিয়াছি, আজীবন যাহা কিছু নুতন দেখিয়াছি তাহাও মানবের কৃপায় ; স্মৃতিশক্তিহীন, চলচ্ছক্তিহীন জীবনে যতটুকু স্থান ও অবস্থার পরিবর্তন হইয়াছে তাহাও মানবের জন্য । তাহাই নিশ্চল পাষাণের মানবের প্রতি আকর্ষণের হেতু ও তাহাই আমাদের মানবদর্শনলালসার মূল। মনুষ্যদর্শন করিবার জন্য উৎসুক চিত্তে বর্ষের পর বর্ষ অতিবাহিত করিয়াছি ; যখন মনুষ্য-সংসর্গের পরিবর্তে নিবিড়বনবেষ্টিত হইয়া অসংখ্যা অগণিত বৎসর যাপন করিয়াছি তখনও জীবনের একমাত্র লালসা—একমাত্র উদ্দেশ্য-মানবসমাজের সংস্পৰ্শলাভ ব্যতীত আর কিছুই ছিল না। জীবনে মানবসংস্পর্শের প্রথম দিনে মানবের নগরোপকণ্ঠে আসিয়া যে সৌন্দর্য্য দেখিয়াছিলাম, কত দিন তোমাকে বলিয়াছি, সেরূপ সৌন্দর্য্য। আর দেখি নাই, আর কখনও দেখিবার আশা নাই। কিন্তু এক দিনে সেই মানবের প্রতি ও মানবসংস্পর্শের প্রতি এরূপ দারুণ ঘূণা জন্মিয়াছিল। যে, এখনও তাহা প্রশমিত হয় নাই। মানবের প্রারম্ভ হইতে মানবকে দেখিতেছি, মানবকে শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখিয়াছি, মানবকে ঘূণার দৃষ্টিতে দেখিয়াছি, এখন ঘূণা ও শ্রদ্ধা অতিক্রম করিয়া মানবকে দেখিতেছি ; কিন্তু যশোধর্ম্ম দেবের স্তু পাৰ্চনার দিন মানবের যে রূপ দেখিয়াছি সে রূপ আর কখনও আমাদিগের গোচর হয় নাই । মানবের প্রারস্ত দেখিয়াছি, বলবীর্য্যসম্পন্ন, দীর্ঘাবয়ব, সরলচিত্ত, আর তখন দেখিয়াছি বলহীন, ক্ষীণ, ক্ষুদ্রদেহ, ক্ষুদ্রচেতা, কুটিলমতি মানব । তাহাদিগকে দেখিয়া মনে স্বতঃই ঘূণার উদ্রেক হইয়াছে। এখন দেখিতেছি, অধঃপতনের শেষ সোপানে দণ্ডায়মান হইয়া আর্য্যাবর্ত্তবাসিগণ নিমিষের জন্য আত্মরক্ষার চিন্তা করে নাই। তখন জগতে কোন প্রকার উত্তেজনাই তাহাদিগকে উত্তেজিত করিতে পারিত না । শাক্যের ধর্ম্ম, ব্রাহ্মণের ধর্ম্ম তাহাদিগের নিকট সমান হইয়াছে ; উন্নতির চেষ্টা বহুদিন শেষ হইয়াছে ; তখন ধর্ম্মের নাম স্বার্থসাধন, সঙ্গোর নাম কামাচার 杂。