পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SVR चार्यTद6 । ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা । ও বুদ্ধের নাম বিশ্বাসঘাতকতা ; তখন ব্রাহ্মণের ইজ্যার নাম অর্থশোষণ, অধ্যয়ণের নাম স্বার্থসাধন ও দানের নাম পরস্বপহরণ হইয়াছে। ধীরে ধীরে ব্রাহ্মণগণের চেষ্টায় পরিবর্তন হইয়াছিল, নিঃশব্দে জগতকে জানিতে না দিয়া ধীমান ব্রাহ্মণগণ প্রাচীন সরল ধর্ম্ম দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত করিয়াছিলেন। আবার তঁহাদিগেরই বংশধরগণ স্বার্থসাধনের জন্য দৃঢ় ভিত্তি ক্ষয় করিয়া ভবিষ্যৎ বিনাশের পথ মুক্ত করিয়া দিয়াছে। ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করা ; দেখিতে পাইবে, এ ব্যবস্থা স্থায়ী হয় নাই, ধীরে ধীরে মিথ্যার গ্রন্থি শিথিল হইয়াছে, সত্য প্রকাশিত হইয়াছে। সদ্ধর্ম্ম আর্য্যাবর্ত্ত হইতে দূরীভূত হইয়াছে সত্য, কিন্তু তাহার সহিত আর্য্যাবর্ত্তের কি দশা হইয়াছে ? সত্য আবহমানকাল সত্যই রহিয়াছে, কখনও দীর্ঘকাল মিথ্যার আবরণে আচ্ছাদিত থাকে নাই। দুরে দৃষ্টি নিক্ষেপ কর, সদ্ধর্ম্মের ছায়ামাত্র বর্তমান আছে, শাক্যরাজকুমারের সরল বিশ্বাসের ধর্ম্ম অতীতে বর্ত্তমান নাই, যাহা আছে তাহা কি সদ্ধর্ম্ম ? তথ্যাগতের মহাপরিনির্বাণের পর যে সকল মহাস্থবির। সেই সুসমাচার জগতে ঘোষিত করিয়াছিলেন তাহারা ফিরিয়া আসিলে কি সদ্ধর্ম্মের নামে প্রচলিত ছায়া চিনিতে পরিবেন ? নিজমনে অন্বেষণ করিয়া দেখ, যাহাকে আর্য্যাবর্তে সদ্ধর্ম্ম বলিত তাহা নাই, তাহার পরিবর্তে যাহা আছে তাহা তোমরা চিনিতে পরিবে না। স্বেচ্ছাচারীর আদম্য কাম ও অসহ লালসা সদ্ধর্ম্মের সহিত দেশে ও বিদেশে যাহা মিশ্রিত করিয়াছে তাহাতে সদ্ধর্ম্মে সত্যের পরিবর্তে অসত্য প্রবেশ করিয়াছে । যাহা সত্য তাহ সরল ও সহজবোধগম্য, এক সত্যের সাহায্যে অপরের সাহায্য লাভ করা षा, তাহা স্থায়ী হয়। কিন্তু একবার যদি অসত্যের আশ্রয় গ্রহণ করিতে হয়, তাহা হইলে ভবিষ্যতে তদ্ব্যতীত আর পন্থা থাকে না ; একটি মিথ্যা কথা প্রমাণ করিতে হইলে যেমন শত শত মিথ্যা কথার অবতরণা করিতে হয়, সত্যের সহিত অসত্য মিশ্রিত হইলে তেমনই অসত্যেরই প্রাদুর্ভাব হয়, সত্য দুরীভূত হইয়া যায়। চাহিয়া দেখা কি হইয়াছে, উত্তরমেরুপ্রান্তে চিরতুষারমণ্ডিত সমুদ্রকুলাবাসী অসভ্য বর্বরগণও সদ্ধর্ম্মের আশ্রয়ে আসিয়াছে। কিন্তু তাহাদিগের সদ্ধর্ম্ম কিরূপ ? তাহাদিগের শ্রমণগণ দন্তহীন মৎস্যের পূজায় দিবস অতিবাহিত করিয়া থাকে ও সুরাপানে উন্মত্ত হইয়া রাজনীযাপন করে। দুরে যাও, মেরুবাসী মৎস্যভুক বামনগণও সদ্ধর্ম্মের প্রতি অনুরাগী, তাহদিগেরও শ্রমণ আছে, তাহারা মৎস্যের আকাঙ্ক্ষায় সমুদ্রের পূজা করিয়া