পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৯৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্যাবর্ত্ত ।। ৩য় বর্ষ- ৩য় সংখ্যা । ܟܟܠܠ ক্ষুদ্র নগর স্থাপিত হইল, শত শত বিপণীতে নগরোপকণ্ঠ আচ্ছাদিত হইয়া গেল। প্রতি রজনীতে সদ্ধর্ম্মানুযায়ী সাধনার আনন্দধ্বনি বহু দূর হইতে শ্রুত হইত ; কিন্তু আশ্চর্য্যের বিষয়, কখনও কোন গৃহস্থ নাগরিক স্ত্রীপুত্রাদি সমভিব্যাহারে তীর্থদর্শনে আসিত না। একদিন সম্রাট আসিয়া উপস্থিত হইলেন। তঁহার সহিত বহুসংখ্যক সৈন্য আসিল, বহুকালপরে চীরধারী কয়েকজন ভিক্ষু সম্রাটের পার্শ্বচররাপে স্তুপসন্নিধানে উপস্থিত হইলেন। সম্রাটের সহিত যে সমস্ত সেনা আসিয়াছিল। তাহার হ্রণযুদ্ধে সুশিক্ষিত, সুতরাং তাহাদিগের মধ্যে নিয়ম বা শৃঙ্খলার বিশেষ অভাব ছিল না। সম্রাটের সহিত যে কয়জন চীরধারী ভিক্ষু আনিয়াছিলেন তাহারা সমাগত বুদ্ধ বা বোধিসত্ত্বগণের সংস্পর্শে আসিতেন না, দুরে বনমধ্যে পর্ণকুটীরে দিনযাপন করিতেন। বুদ্ধ বা বোধিসত্ত্বগণ ইহাদিগকে বিশেষ শ্রদ্ধার দৃষ্টিতে দেখিতেন না । একদিন শুনিলাম, সম্রাট পাশ্বচরগণপরিবৃত হইয়া উপসনার জন্য স্তুপে আসিবেন। স্তুপ ও বেষ্টনী পরিষ্কত হইল ; সজ্জারও অভাব হইল না। শুনিলাম, সেই দিন উপাসনার জন্য নাগরিকগণও স্তুপসন্নিধানে আসিয়া উপস্থিত হইবে, কিন্তু উৎসবদর্শনে আমাদিগের কিছুমাত্র च्ाकाख्या छिव्ण ना । নূতন উৎসবে বিশেষত্ব ছিল, কিন্তু তথাপি আমরা বিশেষভাবে সন্তুষ্ট হুই নাই! যে দিন সম্রাট স্তু পাৰ্চনা করিতে আসিলেন সে দিন সূর্য্যোদয়ের পূর্ব হইতে বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বমণ্ডলী স্তুপ ও বেষ্টনী অধিকার করিয়া বসিলেন। নানা স্থানে শিষ্য ও শক্তিমণ্ডলীপরিবেষ্টিত হইয়া ভূতলে নবাবর্ণে রঞ্জিত চক্রাঙ্কন করিয়া তন্মধ্যে উষাকাল হইতে ইহারা সম্রাটের দর্শনলাভেচ্ছায় - উপবেশন করিয়া ছিলেন। সুর্য্যোদয়ের কিঞ্চিৎ পূর্বে দলে দলে পুত্রকলাত্র সমভিব্যাহারে নাগরিকগণ স্তুপসন্নিধানে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছিলেন। রাত্রিকাল হইতে সশস্ত্র সৈনিকগণ শ্রেণীবদ্ধ হইয়া পথ রক্ষা করিতেছিল । নাগরিকগণ যথাবিধি স্তু পাৰ্চনা ও বেষ্টনীপরিক্রমণ করিয়া পরে বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বগণেরও অৰ্চনা করিতেছিলেন। স্তু পাৰ্চনাকালে মন্ত্রপাঠের পর ভিক্ষুগণ বা তাহাদিগের শিষ্যমণ্ডলী নাগরিকদিগের নিকট হইতে যথাসম্ভব অর্থাকর্ষণ করিতেছিলেন, কিন্তু জীবিত বুদ্ধ বা বোধিসত্ত্বগণ অচ্চিত হইবার পর স্বয়ং দক্ষিণা গ্রহণ করিতেছিলেন, তাহাদিগের পাশ্বচারিণী শক্তিসমূহও যথাসম্ভব উপার্জনের ব্যবস্থা করিতেছিলেন। আমার পাশ্বের্ণ