পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২০

डायव6 । ৩য় বর্ষ-১ম সংখ্যা। صوW ভার বর্ম্মে পীড়িত হইয়া হস্তীও অসুস্থতার চিহ্ন প্রকাশ করিতে লাগিল। ক্রমে আলোকের অভাব অনুভূত হইলে বৃদ্ধের চিন্তার অবসান হইল। বেতসকুঞ্জ হইতে অশ্বখবৃক্ষতলে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া বৃদ্ধ হস্তিপককে হস্তীর বর্ম মোচন করিতে আদেশ করিলেন ও তাহার পৃষ্ঠের আস্তরণ বৃক্ষতলে বিস্তৃত করিতে কহিলেন । আদেশ শ্রবণে হস্তিপক বিস্মিত হইল, কিন্তু নিঃশব্দে আজ্ঞা পালন করিল। বৃক্ষতলে কঠিন আস্তরণে পিতা ও পুত্র উপবেশন করিলেন। হস্তিপক হস্তী লইয়া জলান্বেষণে গেল। হস্তিপক প্রত্যাবর্ত্তন করিলে সন্ধ্যাকালে সকলে বনমধ্য হইতে শুষ্ক কাষ্ঠ আহরণ করিয়া অশ্বখবৃক্ষের চতুঃপাশ্বে চারিটি স্তুপ নির্ম্মাণ করিলেন ও কাষ্ঠন্তুপে অগ্নি সংযোগ করিয়া বৃক্ষতলে বিশ্রামের আয়োজন করিতে লাগিলেন। সম্মুখে হস্তী ও চতুঃপাশ্বে অগ্নিকর্তৃক রক্ষিত হইয়া মনুষ্যত্রয় রজনী অতিবাহিত করিলেন। নিশাচর ঘূগসমূহ রজনীতে জলান্বেষণে আসিয়া অগ্নির ভয়ে বৃক্ষতলে আশ্রয় গ্রহণ করিতে পারিল না। প্রভাতে হস্তী সজ্জিত করিয়া পিতাপুত্র রূক্ষতল পরিত্যাগ করিলেন। তৎপুর্বে দিবালোকে হস্তী কর্তৃক সংগৃহীত ইন্ধন অগ্নিকুণ্ডসমূহের চতুঃপাশ্বে স্তুপীকৃত হইয়াছিল, কুণ্ডচতুষ্টয় সমভাবে প্রজ্জ্বলিত ছিল ও তাহার ধূম বহুদূর পর্য্যন্ত দৃষ্ট হইতেছিল। অশ্বথবৃক্ষের সান্নিধ্য পরিত্যাগকালে পিতাপুত্রে কথোপকথন হইতেছিল যে, অগ্নি সন্ধ্যাকাল অবধি প্রজ্বলিত থাকিবে, অশুষ্ক কাষ্ঠ প্রজ্জ্বলনহেতু ধূমের স্তস্ত বহুদূর হইতে দৃষ্ট হইবে, দুরে নগরে ও শিবিরে বনমধ্যস্থ ধূম দৃষ্ট হইলে লোক আসিবে। অগ্নিকুণ্ডসমূহ দ্বিপ্রহর রাত্রি পর্য্যন্ত প্রজ্বলিত ছিল, প্রভাতেও আঙ্গাররাশি হইতে প্রভুত ধূম নিৰ্গত হইয়া আকাশে পুঞ্জীকৃত হইতেছিল। প্রথম প্রহর অতীত হইলে ধূম লক্ষ্য করিয়া হস্তীর পর হস্তী বহুসংখ্যক মনুষ্য বহন করিয়া অশ্বখবৃক্ষতলে আসিতে আরম্ভ করিল। কয়েকজন মনুষ্য ব্যাভ্রের ত্বকচ্ছেদন করিয়া তৎক্ষণাৎ হস্তিপৃষ্ঠে প্রস্থান করিল ; কিন্তু অপর সকলে বৃক্ষশাখা ও পত্রের সাহায্যে অশ্বখবৃক্ষতলে অগ্নিকর্তৃক পরিষ্কৃত ভূখণ্ডে পণ্যকুটীর নির্ম্মাণে প্রবৃত্ত হইল। কেহ কেহ চতুঃপার্শ্বস্থা বেতসকুঞ্জসমূহ ছেদনে সচেষ্ট হইল। সুবর্ণবর্ণ উষ্ণকীষ পরিহিত জনৈক যুবক, সম্ভবতঃ কোন উচ্চপদস্থ কর্ম্মচারী, অন্যান্য সকলেরা কার্য্য নির্দেশ করিতেছিলেন। ক্রমে অশ্বখ বৃক্ষতলে শত হস্ত পরিমিত ভূমি সন্ধ্যার পূর্বে পরিষ্কত হইল. প্রতিদিন দিবসের আরম্ভ হইতে শেয় পর্য্যন্ত শ্রমজীবিগণ পরিশ্রম করিয়া ধীরে ধীরে স্তুপবেষ্টনীর চতুঃ