পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Save আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ- --৩য় সংখ্যা । জীবন বৈচিত্র্য। C32 মানুষ জীবনে যত প্রকার সুখ সম্ভোগ করে প্রেমজনিত সুখের সহিত তাহার আর কোনটির তুলনাই হয় না। কবিবর কীটস বলেন, যদি প্রেম না থাকিত তাহা হইলে বৃক্ষলতা ফলাফুলে সুশোভিত হইত কি না। সন্দেহ । ইহা কেবল কবির কল্পনামাত্র নহে। বাস্তবিক যদি আমরা প্রেমধনে বঞ্চিত হইতাম তাহা হইলে এই সুন্দরী পৃথিবী আমাদের নয়নে কি ভীষণ মরুভূমি বলিয়া প্রতিভাত হইত ! প্রেমের কথা বাদ দিলে মানব-সাহিত্যে থাকে কি ? সৃষ্টিসংরক্ষক প্রেম কাব্যজগতের প্রাণস্বরূপ । প্রেমের প্রসঙ্গ আবহমানকাল নানা ভাবে ও নানা ছন্দে বাণিত হইয়া আসিতেছে ; কিন্তু ইহার চির-নবীনত্বের কি কোনওরূপ হ্রাস হইয়াছে ? প্রেমিকযুগলের মনের ভাব যেমন চুম্বনালিঙ্গনে নিতান্ত অসম্পূর্ণভাবে প্রকাশ পায়, সেইরূপ মানুষের অসম্পূর্ণ ভাষাতেও প্রেমের পূর্ণ অভিব্যক্তি হয়। না । পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ কবিগণ প্রেমসম্বন্ধে যাহা কিছু বলিয়াছেন প্রকৃত প্রেমিক তাহাতে নিজ হৃদয়ের অপরিস্ফুট ছায়ামাত্র দেখিতে পায়েন। কিন্তু প্রেমের এমনই মোহিনী শক্তি যে, এই চির-পরিচিত প্রসঙ্গের চর্বিতচর্বণও সর্বজনপ্রিয় । আমি এই সাহসে বর্তমান প্রবন্ধ লিখিতে সাহসী হইয়াছি । কবির কবি স্পেনসার বলেন যে, দুইটি রাজযোটক আত্মার সংযোগে যে স্বৰ্গীয় সঙ্গীত উৎপন্ন হয় তাহারই নাম প্রেম । বস্তুতঃ দুইটি হৃদয়তন্ত্রী এক সুরে বাধা না হইলে প্রকৃত প্রেম জন্মে না। মহাকবি ভবভূতি প্রেমের প্রকৃতি কিরূপ বিশদরূপে ব্যাখ্যা করিয়াছেন..! তিনি বলেন “অদ্বৈতং সুখদুঃখয়োরনুগুণাং সর্ব্বাস্বাবস্থাসু যদ্বিশ্রামো হৃদয়স্য যাত্র জরসা যামিল্লহার্য্যোৱসঃ । কালোনাবরণাত্যয়াৎ পরিণতে যৎ স্নেহসােরং স্থিতং ভদ্রং প্রেম সুমানুষস্য কথমপ্যোকং হি তৎপ্রাপ্যতে ৷” যাহা সুখে দুঃখে সমভাবে থাকে, যাহা সকল অবস্থার অনুকুল, যাহা হৃদয়ের বিশ্রামস্থল, জরা যদ্বিষয়ক আস্বাদ হরণ করিতে পারে না, কাল- ,