পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»bro আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ - ৩য় সংখ্যা । আহা প্রেমের কি উদার দৃষ্টি ! সতী স্বামীর সোহাগে ৰঞ্চিত হইলে স্বামীর চরিত্রে দোষারোপ না করিয়া ভাবেন, তাহার নিজের কোনও অপরাধে বুঝি এরূপ ঘটিল। পতির দোষ ধরা দুরে থাকুক, পতি-নিন্দা কাণে শুনিলেও সতী মর্ম্মান্তিক ব্যথা পায়েন । প্রেমের ক্ষমাশীলতারও ইয়ত্তা নাই । প্রেমে “সাত খুন মাফ * প্রেম ক্ষমাপ্রার্থনার অপেক্ষা না করিয়া শত অপরাধ মার্জন BB S S S BDDDBDu D BBBD DBBDL S uDuS DBDDDDD BBBB উভয় শঙ্কটে পড়েন ; যতক্ষণ মানভঞ্জন না হয় ততক্ষণ “বারিছাড়া মীনের” ন্যায় ধড়ফড় করিতে থাকেন। ‘না সাধিলে- কথা কহিবেন না।” এ প্রতিজ্ঞা রক্ষণে সম্পূর্ণরূপে অসমর্থ ললনার কথাও আমার আবিদিত নাই। এই রূপ প্রকৃতিবিশিষ্ট নারীরত্বের মানাবলম্বন বিড়ম্বন মাত্র। তাই কবি বলেন “মুগ্ধে মানং নিতে কর্ত্তং যুক্তং প্রাণাধিকে প্রিয়ে। ধত্তে মৎস্রষ্ঠী কিয়াৎকালং জীবিতং জীবনং বিনা ৷ মুগ্ধে! যে তোমার প্রাণের অধিক প্রিয়, তাহার উপর মান করা তোমার পক্ষে যুক্তিসঙ্গত নহে। বারি-ছাড়া মীন কতক্ষণ জীবিত থাকে ? প্রেমের প্রসঙ্গ উত্থাপন করিলে রূপের কথা আপনা হইতে আসিয়া পড়ে । মানুষ স্বভাবতঃ এরূপ সৌন্দর্য্যপ্রিয় যে, রূপ সহজেই প্রণয়াকর্ষণ করে। একজন কবি বলেন, রূপ আমাদিগকে কেবল একগাছি কেশ দিয়া বঁাধিয়া ঘুরাইতে পারে। তাই প্রেমের কাব্যে রূপের এত ছড়াছড়ি । হাফেজ বলেন, তিনি তঁহার প্রণয়িনীর গোলাপ-বিনিন্দিত গণ্ডস্থল এবং শ্বেতশতদলসদৃশ করযুগল পাইলে যত সুখী হয়েন বোখারার গৌরবীভূত সুবর্ণরাশি ও সমরকন্দের সমস্ত রত্নদ্রাজি পাইলেও তত সুখী হয়েন না । সুন্দরীর কাপোলে প্রকৃতিদেবী নিজহস্তে ষে বর্ণ ফলান তাহার সহিত মানুষের শিল্পের কি তুলনা হয় ? “সৌবর্ণানি সরোজানি নির্থাতুং সন্তি শিল্পিনঃ।। তত্র সৌরভনির্ম্মাণে চতুরশ্চতুরাননঃ ॥” সুবর্ণকমল নির্ম্মাণ করিতে পারে এরূপ শিল্পির অভাব নাই, কিন্তু স্বয়ং ব্রহ্মা ভিন্ন কে তাহাতে সৌরভ প্রদান করিতে পারে ? ভাস্কর সুন্দর প্রতিমা নির্ম্মাণে পটু, কিন্তু সে এরূপ সুক্ষ্ম যন্ত্র কোথায় পাইবে যন্দ্বারা সে ক্ষোদিত প্রস্তর মূর্ত্তিতে প্রাণবায়ু ক্ষোদিত করিতে পারে ? ?