পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ܬܝzܬ݂ জীবন-বৈচিত্র্য । | סכסכ- טואן}ס এক একজন স্ত্রীলোকের মুখ দেখিলে তাহাদের সকল দোষ ভুলিয়া যাইতে হয় । 哺 সুন্দরী যখন নিজের ওকালতী নিজে করেন তখন র্তাহার প্রতিপক্ষ উকীল কোথায় পাইবে ? সুন্দরীর হাসি-মুখ। যেমন প্রঘটিত কমলের শোভা ধারণ করে সেইরূপ তাহার অশ্রুসিক্ত মুখমণ্ডলও শিশির-স্মাত গোলাপের ন্যায়। মনোহর। শৈবালানুবিদ্ধ সরসিজের ন্যায় স্বভাবসুন্দর মুখে কালিমা পড়িলেও উহাতে এক বিচিত্র রমণীয়তা লক্ষিত হয়। এক একখানি মুখের স্বৰ্গীয় প্রভায় ছায়াময় স্থানও আলোকাকীর্ণ বোধ হয় । স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য বেশভূষার অপেক্ষা করে না, বরং বেশভূষার আধিক্যে উহা আবৃত হয়। এরূপ সৌন্দর্য্য আভারণের আভরণ, সজ্জার সজা এবং উপমানের প্রত্যুপমান ; “আভরণস্যাভারণং প্রসাধনীবিধেঃ প্রসাধনবিশেষঃ । উপমানস্যাপি সখো! প্রতুপমানং বপুস্তস্যাঃ ॥” একখানি ইংরাজী নাটকে বাণিত আছে যে, একজন ধনাঢ্য ডিউকের সুন্দরী সহধর্ম্মিণী নাচের মজলিসে নিমন্ত্রিত হইয়া কি পোষাক পরিবেন তদ্বিষয়ে স্বামীর . অভিপ্রায় জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন। ডিউক তাহাতে উত্তর দিলেন ঃ-“আমার ইচ্ছা তুমি একটি শুভ্রবর্ণের দীন পরিচ্ছদ পরিধান কর । শিরোভূষণ স্বরূপ একটি মাত্র অৰ্দ্ধপ্রহ্মটিত গোলাপের কুঁড়ি তোমার কবরীতে আবদ্ধ কর । তোমার হীরা মুক্ত পরিবার কোনও প্রয়োজন দেখি না ; তোমার নয়নযুগলে যে হীরক জ্বলিতেছে, দন্তচ্ছদে যে পদ্মরাগমণি আছে। এবং তদভ্যন্তরে যে মুক্তাপঙক্তি বিরাজ করিতেছে তাহাই যথেষ্ট । যখন তোমার সুগঠিত দেহলত সঙ্গীতের তালে তালে ইতস্ততঃ সঞ্চারণ করিবে: এবং তোমার আলীকদম বাতাসে দুলিবে তখন তোমার রূপ যেরূপ দৃষ্টি আকর্ষণ করিবে তদপেক্ষা অধিক আকষণ বাঞ্ছনীয় নহে। স্ত্রী যেরূপ বেশভূষা করিলে স্বামীর নয়নানন্দদায়িনী হয়েন তাহার পক্ষে সেইরূপ বেশভূষাই যথেষ্ট ।” বাস্তবিক বিধাতৃদত্ত অলঙ্কারের কাছে অন্য অলঙ্কার অতি অকিঞ্চিৎকর বলিয়া বোধ হয় । এক একজন রূপসী নিজের রূপের কথা স্বপ্নেও ভাবেন না, অথচ তাহারা সাক্ষাৎ রূপের অবতার স্বরূপা। আমি বহু বৎসর পূর্বে এইরূপ অসামাঙ্গ রূপলাবণ্যবতী একটি দ্বাদশবর্ষীয়া বালিকাকে দেখিয়াছিলাম। যদিও ভাহাকে: গৌরাঙ্গী বলিতে পারি না, তথাপি সেরূপ লাবণ্য আমি আর কখনও দেখিয়াছি