পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ - আর্য্যাবর্ত্ত। ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা । বলিয়া মনে হয় না। আমি রূপের অপেক্ষা লাবণ্যের অধিক পক্ষপাতী। গ্রীকৃ, কবি বাস্তবিকই বলিয়াছেন যে, লাবণ্যের বড়িশ না থাকিলে রূপের টোপ কোনও কার্য্যেরই হয় না। আমার এক বন্ধু পরিহাস করিয়া বলিতেন। যে, সুবিখ্যাত নুরজাহান রাজী ওজনে এক ছটাক ছিলেন এবং তাহার দেহে আর যাহা কিছু ছিল তাহা কেবল লাবণ্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, সুরজাহানের রূপের অপেক্ষা লাবণ্য অধিক ছিল, নচেৎ তিনি বত্রিশ বৎসর বয়সে কখনই জাহাঙ্গীরের সিংহাসন অধিকার করিতে পারিতেন না। ইতিহাসেও তাহার রসিকতা, কাব্যপ্রিয়তা, শিল্পকুশলতা ও কার্য্যদক্ষতার যথেষ্ট পরিচয় পাওয়া যায়। মিশরের ষে রাজী ক্লিওপেটার প্রেমে মজিয়া আণ্টনি রোমসাম্রাজ্যের অৰ্দ্ধাংশ এবং স্বীয় প্রাণ পর্য্যন্ত বিসর্জন দিয়াছিলেন, তিনি যেরূপ জগদ্বিখ্যাত সুন্দরী ছিলেন তদপেক্ষা অধিক লাবণ্যবতী ছিলেন । তাহাকে সম্বোধন করিয়া আণ্টনি সেক্সপীয়ারের একখানি সর্বোৎকৃষ্ট নাটC夺可4卒弯乙可可何乙丐夜可一 “ওগো কলহতৎপর রাজমহিষি ! তোমাকে ধিক ! তোমার তিরস্কার, তোমার হাসি, তোমার কান্না, তুমি যখন যাহা কিছু কর, সবই তোমাকে কেমন সুন্দর সাজে ! এমন কোন উৎকট মনোবৃত্তি নাই যাহা তোমাতে আবিভূতি হইলে সুন্দর দেখাইতে ও প্রশংসা লাভ করিতে বিধিমতে চেষ্টার 6 ইহাই লাবণ্যের প্রধান লক্ষণ । রূপে মনের পরিচয় পাওয়া যায় না, কিন্তু লাবণ্যে পাওয়া যায়। এই জন্য লাবণ্য নিজাব রূপকে সজীব করে। ডেভনসিয়ারের ডিউকৃ-পত্নী সুবিখ্যাত সুন্দরী জজিয়ানার অসাধারণ " মানসিক সৌন্দর্য্য ছিল বলিয়া তাহার রূপের অপেক্ষা লাবণ্যের খ্যাতি অধিক ছিল। যাহার লাবণ্য আছে সে যাহা করে তাহাই সুন্দর দেখায়। এই জন্য ফ্লেরিজেল তাহার প্রণয়িণী পাডিটাকে সম্বোধন করিয়া বলিয়াছিলেন, “তুমি যখন যাহা করি আমার তখন তাহাই ভাল লাগে ; তুমি যথন নৃত্য DS DDD DBD DBDBDS DD DB EDLS BDDD BDBD BB BD BuD BD তাহাই করিতে থাক।” লাবণ্যময়ীর মনে যখন যে ভাবের উদয় হয় তাহার ভাব-বাজক মুখমণ্ডলে ও বিষগ্রাহী নয়নযুগলে তাহার ছায়া পড়িয়া প্রতিমুহুর্তে নূতন নুতন সৌন্দর্য্য উদ্ভাবিত করে। আমি এতক্ষণ রূপ-লাবণ্যের প্রশংসা করিলাম বলিয়া কেহ যেন মনে