পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y79 আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-৩য় সংখ্যা। প্রসিদ্ধ মিটুসিনিকফ ( Metschnikoff ) প্রভৃতির চেষ্টায় শরীরস্থ শ্বেতরক্তা-কণিকাগুলির (White Corpuscles ) কার্য্য আবিষ্কত হওয়ায়, চিকিৎসাশাস্ত্রে ও শারীরবিধানশাস্ত্রে নবযুগের। প্রবর্ত্তনা হইয়াছে। তাহারা প্রমাণ করিয়াছেন যে, রক্তস্থ শ্বেতকণিকাগুলি শরীরের রক্ষীসৈন্যের -কার্য্য করিয়া থাকে। শরীরের মধ্যে কোনও প্রকার অনিষ্টকারী পদার্থ প্রবেশ করিলে, উহারা তাহাদিগের অপকারিত হইতে শরীরকে রক্ষা করিবার চেষ্টা করে। পদার্থগুলি সজীব হইলে উহারা তাহাদিগকে বিনষ্ট করে, নিজীবি হইলে তাহাদিগকে সত্বর শরীর হইতে বাহির করিয়া দিবার ব্যবস্থা করে কিম্বা শরীরের কোন নিরাপদ স্থানে লইয়া যাইয়া বন্দী করিয়া রাখিয়া দেয় । অপকারী পদার্থের সংখ্যা যদি শ্বেতকণিকাগুলির অপেক্ষা অধিক হয়, কিম্বা যদি তাহারা অধিকতর পরাক্রান্ত হয়, তাহা হইলে তাহাদের সহিত সংগ্রামে শ্বেতকণিকাগুলি পরাভূত হয় ও দেহ রোগের দ্বারা আক্রান্ত হইয়া পড়ে। পরীক্ষায় জানা গিয়াছে যে, দেহস্থ শ্বেতরিক্তকণিকাগুলিই শরীরকে বিবিধ অপকারী পদার্থের আক্রমণ হইতে রক্ষা করিবার একমাত্র iLDD DBS BBDBD uDuDBDDDBDBB DDBD BBBBD SLLLLLLS LBDBD পরিমাণে শরীর আক্রমণকারী বিষের প্রতিষেধক পদার্থ নির্ম্মাণ করিতে সমর্থ। শুধু তাহাই নহে, রক্তস্থ তরল পদার্থেরও (Plasma) বিষাদোষ নাশ করিবার গুণ আছে ; এবং শরীরনির্ম্মাণকারী কোষগুলির (Cells) চারি ধারে অবস্থিত যে রস (Lymph) আছে, তাহার এই বিষাদোষ নাশ করিবার গুণ আরও অধিক ৷ পণ্ডিতগণ পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে, যদি কিঞ্চিৎ পরিমাণ রক্তস্থ বা কোষমধ্যস্থ রস লইয়া তাহার সহিত কিছু রোগ উৎপাদনকারী বা অন্যবিধ জীবাণু মিশ্রিত করা হয়, তাহা হইলে কিছুক্ষণের মধ্যে ঐ জীবাণু গুলি শরীরের রসের বিষনাশক ও বীজানাশক গুণের ফলে মৃত্যুমুখে পতিত হয়। নানা কারণে বহুসংখ্যক · রোগ উৎপাদনকারী ব্যাকটিয়া বা বীজাণু আমাদের শরীরমধ্যে প্রবেশ করে, কিন্তু তাহারা আমাদের শরীরস্থ ব্লস বা শ্বেতৱদ্ধভক্তকণিকাগুলির দ্বারা বিনাশ প্রাপ্ত হয় । যদ্যপি কোন কারণে শরীরস্থ শ্বেতকণিকাগুলির বিষাদোষনাশক কিম্বা বীজাণুনাশক শক্তির অল্পতা ঘটে, তাহা হইলেই দেহ রোগাক্রান্ত হইয়া পড়ে। কথাটি আরও ভাৱা করিয়া বুঝাইবার জন্য একটি দৃষ্টান্ত লওয়া ফাউক । মনে করা বাউক ফে, কশািট মশক দংশন করিলে যে পরিমাণ ম্যালেরিয়ার বীজাণু শরীর মধ্যে প্রকেশ্য