পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩১৯ ৷৷ মরুভূমে । * Rə 9 আমি বলিলাম, “বুদ্ধ নেশার ঝোকে কত আব্বল তাবল বকিয়াছিল তাহা আর “শুনিয়া কি হইবে ? শেষে এইরূপে এক দিন খেলা করিতে করিতে সে নিজ অজ্ঞাতসারে বাঘিনীকে কিরূপে পীড়া দিয়াছিল। বৃদ্ধ বলিয়াছিল, “সে বিশেষ च्भांषाऊ श्रदेशांछिन्न कि ना खनि DD STuL LBB BLB BD YKDBBDB BD DBDY KDELL K YBDDDD DtDt LLLLYSS DBiiL সে খুব আস্তেই ধরিয়াছিল বটে।--তথাপি আমাকে খাইয়া ফেলিবে এই মনে করিয়া আমি প্রাণভয়ে ছোরা খানি তাহার গলদেশে বসাইয়া দিয়াছিলাম। সে আঘাত করিবামাত্র এরূপ করুণ আর্ত্তনাদের সহিত উন্টাইয়া পড়িয়াছিল যে, তাহা শুনিয়া আমার বুকের রক্ত জমিয়া যাইবার মত হইয়াছিল। আমি দেখিলাম, মৃত্যুকালেও সে আমার দিকে অনুরাগপুর্ণ নেত্রে চাহিয়া আছে। আমার যথাসর্বস্ব—এমন কি আমার গলার ক্রশাকার পবিত্র পদকটি দিয়াও যদি তাহাকে বঁাচাইতে পারিতাম তাহাতেও আমি পশ্চাৎপদ হাইতাম না, কিন্তু তখনও • বীরত্বের পুরস্কার স্বরূপ এই পদকপ্রাপ্তির সৌভাগ্য আমার অদৃষ্টে ঘটে নাই । আমার মনে হইতে লাগিল, আমি যেন নরহত্যার অপরাধে অপরাধী। আমার প্রতিষ্ঠিত পতাকা দর্শনে সৈনিকগণ যখন আমার সাহায্যার্থ উপস্থিত হইল। তখনও আমি নয়ননীরে ভাসিতেছি।” বৃদ্ধ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া পুনরায় বলিতে লাগিল, “মহাশয় ইহার পর আমি অনেক স্থানে ঘুরিয়াছি, এই অকর্ম্মণ্য দেহভার বহন করিয়া জার্ম্মাণি রুসিয়া, স্পেন, ফ্রান্স প্রভূতি দেশের কোনও স্থানই দেখিতে বাকি রাখি নাই ; কিন্তু মরুভুমির ন্যায় সৌন্দর্য্য আর কোথাও দেখিয়াছি বলিয়া মনে হয় না।” আমি বলিলাম, “তথায় আপনার কিরূপ বোধ হইত, প্রকাশ করিয়া বলন।” সে বলিল, “আপনি তরুণবয়স্ক যুবক মাত্র আপনাকে সব কথা বুঝাইয়া বলিব কিরূপে ? আমি যে কেবল খেজুর গাছ ও চিতাবাঘের জন্যই দুঃখ প্রকাশ করিয়া থাকি তাহা নহে-তাহা হইলে আর আমার শোকের সীমা থাকিত না । মরুভূমির ইহাই বিশেষত্ব যে তথায় কিছুই নাই-আথচ সবই আছে।” আমি বলিলাম, ‘সে কি রকম ?” বৃদ্ধ কিঞ্চিৎ বিরক্তির সহিত উত্তর করিল, “এটা আর বুঝিলেন না ? তথায় মানুষের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ নাই বটে, কিন্তু ভগবদনুভূতি সৰ্বক্ষণই ঘটয়া থাকে।” শ্রীগুরুদাস সরকার ।