শ্রাবণ, ১৩১৯ । ভারতীয় শিল্প । S NOG বিস্ময়ের বিষয় । প্রতীচ্য লেখকদিগের রচনায় এইরূপ উদ্যার উক্তিও বিরল । 副 বরং যেসকল য়ুরোপীয় ভারতীয় শিল্পের – ভারতীয় পুরাবস্তুর সম্বন্ধে আলোচনা করিয়াছেন, তাহারা ভারতীয় শিল্পকে অপেক্ষাকৃত আধুনিক বা পরপ্রভাবপুষ্ট প্রতিপন্ন করিতে প্রয়াস পাইয়াছেন। লর্ড কার্জন ভারতীয় পুরাবস্তুর সংরক্ষণে অমনোযোগের জন্য ইংরাজ গভর্ণমেণ্টের নিন্দা করিতে বিরত হয়েন নাই এবং ভারতীয় পুরাবস্তুর সংরক্ষণের নূতন ব্যবস্থা প্রবর্ত্তিত করিয়া ভারতবাসীর কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়াছেন । তিনি এ কথা বলিতে কুষ্ঠিত হয়েন নাই যে, আসিরিয়ার বা মিশরের -এমন কি প্রাচীন যুরোপের পুরাবস্তুর তুলনায় ভারতীয় পুরাবস্তু - গৃহাদি-আধুনিক। ভারতে বর্ত্তমান ভাস্করকার্য্যকমনীয় গৃহের মধ্যে সাচির স্তুপই সর্বাপেক্ষা পুরাতন। স্তুপ কিছু অধিক দিনের হইলেও হইতে পারে ; কিন্তু বৃতি থষ্ট-পূর্ব তৃতীয় শতাব্দীর মধ্যভাগের পূর্বে নির্ম্মিত হয় নাই। আসিরিয়ার ও নাইনিভের প্রাসাদপুঞ্জ ও মিশরের পিরামিড প্রভৃতি তাহার বহু সহস্ৰ বৎসর পূর্বে নির্ম্মিত হইয়াছিল । * তবে এই মত প্রকাশকালে লর্ড কার্জন তাহার স্বাভাবিক সর্বজ্ঞতার ভাণ করেন নাই ; পরস্তু বলিয়াছেন,-ৰ্তাহার এই মত অভ্রান্ত নাও হইতে পারে। লর্ড কার্জন বিশেষজ্ঞ নহেন। তঁহার পক্ষে ভ্রান্তি বিস্ময়কর নহে। জার্ম্মাণ লেখক মূলার তঁহার প্রাচীন শিল্পসম্বন্ধীয় পুস্তকে ভারতীয় শিল্পের বিবরণের জন্য তিন পৃষ্ঠা স্থানও দেন নাই। তিনি বলিয়াছেন, বুদ্ধিমান ভারতবাসীরা সাহিত্যচর্চায়- ধর্ম্মালোচনায়, কবিতারচনায় -বিশেষ পারদর্শী হইলেও মৌলিক শিল্পচেষ্টায় পারদর্শী ছিল না। তাহদিগের শিল্প যে বিদেশীয় ( গ্রীক বা যবন ) আদর্শে গঠিত এই সংস্কার পরিাহার করা সহজ নহে। আবার ভারতবাসীরা এই বিদেশীয় আদর্শও সম্পূর্ণরূপে আত্মসাৎ করিতে পারে নাই । ( ভারতীয় স্থাপত্যের সমালোচক ও ইতিহাসলেখক ফাগুসনও ভারতীয় স্থাপত্যের প্রাচীনত্বে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছেন । আবার ফরাসী পণ্ডিত ব্যাবিলন প্রাচ্য শিল্পাদর্শে ভারতীয় শিল্পের উল্লেখ পর্য্যন্ত করেন নাই। ঃ তিনি বলিয়াছেন, গ্রীসের ও রোমের প্রভাবের পূর্বে যে সকল প্রাচ্য সভ্যতা জগতে প্রভাব বিস্তার করিয়াছিল।
- Ancient Indian Buildings
if Muller's 'Ancient Art." Babelon's 'Manual of Oriental Antiquities'