পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩১৯ । । ভারতীয় শিল্প । S୧୯୬ର . ভারতীয় সভ্যতার ও সমাজের স্বরূপ বুঝিবার পক্ষে বিশেষ সহায়তা হইত। কি না সন্দেহ । কারণ পূর্বে নৃপতির পরিবর্তন ও যুদ্ধের কথাই ইতিহাসের উপকরণ বলিয়া বিবেচিত হইত। ভলটেয়ার প্রথম বুঝাইয়া দেনএই প্রচলিত মত একান্ত ভ্রান্ত। জনসাধারণের কথাই ইতিহাসের উপকরণ । কাষেই প্রাচীন ভারতের কোন কোন অংশের লিখিত ইতিহাসের ভগ্নাংশ নাই বলিয়া দুঃখ করিবার কারণ নাই। সে ইতিহাস রচনা করিতে হইবে। কোন প্রাচীন জাতিই আপনাদিগের ইতিহাস লিখিয়। রাখিয়া যায় নাই। অথচ ভারতে সহজপ্রাপ্য উপাদান অপেক্ষা বহু পরিমাণে বিরল উপাদান হইতে গ্রীসের, রোমের, মিসরের ও হেটিটদিগের ইতিহাস রচিত হইয়াছে। ভারতে উপাদানের অভাব নাই বরং প্রাচুর্য্যই পরিলক্ষিত হয়। যে জাতি অল্পকালস্থায়ী বন্ধলে বা কাগজে আপনাদিগের ইতিহাসের উপাদান রক্ষা না করিয়া কালজয়ী শিলাবক্ষে সেই উপাদান রাখিয়া যায়, ঐতিহাসিক হিসাবে সেই জাতির উত্তরপুরুষগণ অধিক ভাগ্যবান। এইজন্য আমরা বলিতে পারি, আমরা পরম ভাগ্যবান। প্রাচীন ভারতের শিল্পনৈপুণ্যের পরিচায়ক কীর্ত্তির অভাব নাই। সেই সকল কীর্ত্তিতে ভারতীয় সভ্যতারসমাজের বিবর্ত্তন স্থায়ী চিহ্ন রাখিয়া গিয়াছে। সেই সকল হইতে ভারতবর্ষের প্রাচীন সভ্যতার-প্রাচীন সমাজের ইতিহাস গঠিত করিতে হইবে। ইতিহাসে সময়ের পরিমাণ বৎসরে নহে যুগে-আদর্শের পরিাবর্ত্তনে । এ অবস্থায় তারিখের জন্য ব্যস্ত হইবার কোনই কারণ নাই । কোন সভ্যতাই পবনহিল্লোলের মত চিহ্নমাত্র না। রাখিয়া বিলয় প্রাপ্ত হয় না। তাহা স্থাপত্যে-ভাস্কর্য্যে-চিত্রে-নিত্যব্যবহার্য্য তৈজসপত্রেও সেই সময়ের শিল্পাদর্শের চিহ্ন রাখিয়া যায়। ভারতে সেরূপ চিহের অভাৰ নাই, বিশেষ ভারতবর্ষ তাহার রক্ষণশীলতার বর্মতলে পুরাতন সভ্যতারই ংরক্ষণে সচেষ্ট ও বহু পরিমাণে কৃতকার্য্য হইয়াছে । ভারতীয় শিল্পেরবিশেষ স্থাপত্যের আলোচনায় ইহা স্পষ্টই প্রতীত হইবে। , এই সকল কারণে ভারতীয় শিল্প বিশেষভাবে আলোচনার বোগ্য । এই শিল্পের আলোচনা হইতে লব্ধ উপাদানের বলে-বিশ্লেষণ ও সংযোজনের ফলে আমরা ভারতীয় সভ্যতার স্বরূপ উপলব্ধি করিতে পারিব। --ভারতীয় সমাজের ইতিহাস উদ্ধার করিতে পারিব । margm=