পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/২৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RGR : আর্য্যাবর্ত্ত ৩য় বর্ষ-৪র্থ সংখ্যা । ঘোড়াঘাট আসিতে দ্বিপ্রহর অতীত হইয়া গেল। গাড়ীর শব্দ শুনিয়া গাড়িয়ানের পত্নী প্রতীক্ষা করিতেছিল। আঙ্গিণায় আসিবা মাত্র সে গরু দুইটাকে খুলিয়া বিচালী দিবার জন্য গোয়ালে লইয়া গেল ; অপরিচিতকে দেখিয়া বিস্ময় প্রকাশ করিল না। একটি পাঁচ বৎসরের ছেলে গাড়ী হইতে হক, কলিকা, আগুনের মালশা, বালতী একে একে সংগ্রহ করিয়া ঘরে লইয়া গেল। সেগুলি রাখিয়া সে ভদ্রলোকের সহিত আলাপ করিবার জন্য ছুটিয়া আসিল । রামশরণ এই সুস্থ সবল বালকটিকে দেখিয়া খুলী হইলেন। তিনি পাঁচটি টাকা তাহার হাতে দিতে গেলেন । হঠাৎ বালক গম্ভীর হইয়া পড়িল, এবং তাহার পিতাকে আসিতে দেখিয়া একদৌড়ে তাহার মাতার নিকটে ce ( o ) মণিলালের সাহাব্যে রামশারণ গাড়ী হইতে অবতরণ করিলেন । মণিলাল তঁহাকে একখানি ছোট ঘরে লইয়া গেল-ঘরটি বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। ঘরের মেজেয় কেবল একখানি কম্বল পাতা, রামশারণ শুইয়া পড়িলেন । কথঞ্চিৎ সুস্থ হইয়া তিনি অতি কষ্টে মুখ হাত ও মস্তকের রক্ত প্রক্ষালিত করিলেন। গাড়িয়ানপত্নী আসিয়া বলিল, “আকের গুড়, খুব ভাল চিড়া আর দুগ্ধ সংগ্রহ করিয়াছি। উনি পরামাণিককে ডাকিতে গিয়াছেন।” রামশরণ বলিলেন, “আমি ও সব কিছু খাইব না, মা। একটু দুধ খাইব মাত্র। তা’, মা তুমি হাতে করিয়া দিলেই হইবে। কোনও পরামাণিককে ডাকিবার দরকার নাই ।” মণিলালের স্ত্রী বলিল, “আপনি ব্রাহ্মণ, আমাদের হাতে কেন १३वन् ” কিছুক্ষণ পরে গৌর পরামাণিকে সঙ্গে লইয়া গাডুয়ান আসিল। রামশরণ কেবল দুগ্ধ পান করিলেন। মণিলালের পুত্র বৈকালে কতকগুলি পেয়ারা ও কলা আনিয়া ভঁাহাকে দিল ; এবং তিনি খাইতে অসম্মত হইলে অগত্যা নিজেই তাহার সদ্ব্যবহারে প্রবৃত্ত হইল। সন্ধ্যার পর রামশরণ গাড়িয়ানের সহিত কথাবার্ত্ত কহিতেছিলেন। গাড়িয়ান-গৃহিণী কলিকায় ফু দিতে দিতে তথায় আসিয়া উপস্থিত হইল । গাড়িয়ান বলিতেছিল, “কলিকাতায় যাইব বলিতেছে, অথচ আবার