পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্রাবণ, ১৩১৯ । য়ুরোপ ভ্রমণ । r ଧ୍ବଜୋତ ভেনিসের সাধারণ উদ্যানটি অতি সুন্দর ও নানা মর্ম্মরমূর্ত্তিতে সজ্জিত। অবশ্য গ্যারিবলিন্ডর একটি প্রকাণ্ড মুক্তি আছে । পুর্বেই বলিয়াছি, গ্যারিবলিন্ডর মূর্ত্তি নাই এরূপ সহ্যর ইটালিতে নাই। ভেনিস কতকগুলি দ্বীপের সমষ্টি । ভুখণ্ড হইতে ভেনিস পর্য্যন্ত সরু যোজক নির্ম্মাণ করিয়া তাহার উপর দিয়া রেল চালাইয়াছে। প্রায় দুই মাইল পর্য্যন্ত এই ব্যবস্থা, দুই ধারে জল -- কেবল রেলের লাইনটি মাটির উপর স্থাপিত । ভেনিস হইতে রেলে অষ্ট্ৰীয়া দেশস্থ ট্রীয়েষ্টনগরে ( Trieste ) আসিলাম । এই বন্দর হইতে জাহাজে উঠিতে হইবে। হোটেলটি সমুদ্রের ধারে প্রকাণ্ড Strandএর পার্শ্বে অবস্থিত। স্থানটি অতি সুন্দর। বিশেষ কিছু দেখি নাই ; কারণ, রাত্রিতে পৌছিয়া তৎপরদিন প্রাতেই জাহাজে উঠিতে হইল। জাহাজ দুইটার পরে ছাড়িবার কথা ; কিন্তু সকালে সমুদ্রের জল বাড়িয়া রাস্তাঘাট প্লাবিত করিতে আরম্ভ করিল, দশটার মধ্যে হোটেলের একতিলে বেশ জল দাড়াইল, কাযেই জাহাজে পলাইতে হইল। এ জাহাজে অনেক যাত্রী, সবই প্রায় য়ুরোপীয়, কেবল মাত্র তিনজন পার্শি ; আমিই একক বাঙ্গালী । এই পথে আসিতে প্রথম দিনকয়েক প্রায়ই ডাঙ্গা দেখা যায়, কেফালেনিয়া জ্যান্টি, গ্রীসীয় দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি দেখিতে দেখিতে পোর্ট সৈয়দে আসিলাম। পথের বর্ণনার আর প্রয়োজন নাই, যাত্রার সময়েই সে কথা বলিয়াছি। এবার এডেনে নামিয়াছিলাম । বন্দরের নিকট গোটকতক দোকানঘর ও সৈন্যবাস ও গোরস্থান ও বন্দর হইতে মাইল কয়েক দুরে প্রাচীন জলাশয় । এডেনে বৃষ্টি হয় না ; বৃক্ষাদি নাই, একটি বাড়ীতে একটা বটগাছ। টবে করিয়া রাখিয়াছে ; জলাশয়গুলি অতি প্রকাণ্ড, কিন্তু বিন্দুমাত্র জল নাই । লোক সমুদ্রের জল লইয়া Condense করিয়া তাহাই পানাদির জন্য ব্যবহার করে । এডেন ছাড়িয়া আরব সমুদ্রে একটা তিমি মৎস্য দেখিয়াছিলাম। উল্লেখযোগ্য ঘটনা আর কিছু দেখি না। যে দিন প্রভাতে হাবড়ায় আসিয়া পৌছিলাম, আমার দুই কন্যা আর সকলের সঙ্গে ষ্টেশনে উপস্থিত। হ্যাট মস্তকে, টাইকলার পরিহিত এক অদ্ভুত চেহারা দেখিয়া ছোটটি ( বয়স ৫ বৎসর ) বড়কে প্রশ্ন করিল “ও কে ভাই ?” । शैनtबूथ कूमांझ द ।