পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩০৬ আর্য্যবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ-৪র্থ সংখ্যা । মতোদ্ধার সর্বত্র শোভন নহে। দৃষ্টান্ত স্বরূপে বলা যাইতে পারে, লেখক মহাশয় ৯৮ পৃষ্ঠায় ‘বেঙ্গলী’ পত্রের, ১০৫ পৃষ্ঠায় ‘ষ্টেটুসম্যান” পত্রের ও ১০৭ পৃষ্ঠায় “ইংলিসম্যান” পত্রের মতোদ্ধার করিয়াছেন। সংবাদপত্রের মতের গুরুত্ব যতই অধিক হউক না কেন, তাহা কোন স্থায়ী রচনার অবলম্বন হইতে পারে না । আবার লেখক স্থানে স্থানে ষে সকল ব্যক্তির মতের কথা বলিয়াছেন বা যাহাঁদের কৃতকর্ম্মের উল্লেখ করিয়াছেন তাহারা বরেণ্য হইলেও অর্থনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ নহেন-সুতরাং তঁহাদের মত এরূপ পুস্তকে আলোচিত হুইবার যোগ্য নহে, তাহাদিগের কৃত কর্ম্ম ও এখনও অর্থনীতি বিষয়ক পুস্তকে আলোচিত হইবার মত ফলপ্রদ হয় নাই। এ ক্রটী সামান্য হইলেও উল্লেখ ( 1 পরিভাষার অভাবে গ্রন্থকারকে “শ্রমিকের গ্রাহকতা”-“বিনিময়ের দ্বার” প্রভূতি ব্যবহার করিতে হইয়াছে। বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ পরিভাষা রচনায় ব্যাপৃত আছেন, এ কথা বহুদিন হইতে শুনিতেছি। আশা করি, বাঙ্গলা সাহিত্যের সর্ববিভাগ পুষ্টির প্রয়াস দেখিয়া পরিষদ পরিভাষা-সঙ্কলনকার্য্য যাহাতে সত্বর সম্পূর্ণ হয় সে বিষয়ে যত্নবান হইবেন। এরূপ পুস্তকে নানা মতের বিচার করিয়া লেখকের আপনার মত প্রদানই প্রথা । আলোচ্য পুস্তকে সে নিয়মের ব্যতিক্রম বেদনার কারণ। অবাধ বাণিজ্য সম্বন্ধে লেখক নানাজনের নানা মত উদ্ধৃত করিয়াছেন ; কিন্তু স্বয়ং কোন মতই প্রকাশ করেন নাই । অবাধ বাণিজ্যের প্রবল সমর্থক মিলও স্বীকার করিয়াছেন, নবজাত শিল্পের উন্নতি-কল্পে সংরক্ষণ শুল্কের। প্রবর্ত্তনই প্রয়োজনীয় ইংলণ্ড ভারতজাত বস্ত্রের ব্যবহার বিধিবিরুদ্ধ করিয়া স্বীয় শিল্পের উন্নতি-সাধনে সক্ষম হইয়াছিল। আজও যুরোপে অন্য সকল দেশে সংরক্ষণ নীতিই আচরিত। কিন্তু লেখক মহাশয় সে সকলের আলোচনা করেন নাই । পুস্তকের ভাষাসম্বন্ধে তিনি আরও মনোযোগী হইলে আমরা সুখী হাইতাম । তবে আমাদের আশা আছে, গ্রন্থের দ্বিতীয় সংস্করণে এ সকল ক্রটী *সংশোধিত হইবে-আরস্তে ক্রটী অনিবার্য্য। আমাদের আরও আশা আছে, লেখক মহাশয় এবার অর্থনীতি সম্বন্ধে বিস্তৃত গ্রন্থ রচনায় প্রবৃত্ত হইবেন।