পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e8. আর্য্যাবর্ত্ত। ৩য় বর্ধ-১ম সংখ্যা । ত্রিমোহিনী বাজারের নিকট আর একটি উল্লেখযোগ্য ভগ্ন বাটী দেখিতে পাওয়া যায়। ইহাকে তত্রত্য লোক “ইমামবাড়ী” অর্থাৎ প্রার্থনালয় বলিয়া থাকে। মুসলমান ভজনস্থান প্রায়ই বিবিধ কারুকার্য্যময় প্রাচীরবিশেষ । উক্ত ইমামবাড়ীও এই প্রকারের। আরাধনার জন্য বোধ হয় ঐ প্রাচীরের সম্মুখে এক মঞ্চ নির্ম্মিত হইয়াছিল ; কিন্তু তাহার কোনও চিহ্ন এক্ষণে দেখিতে পাওয়া যায় না । বর্ণিত প্রাচীর এক উচ্চ মৃৎ-স্তুপের উপর অবস্থিত। এই প্রাচীর এক্ষণে ভাঙ্গিয়া পড়িতেছে ; আর কয়েক বৎসরের মধ্যে বোধ হয় একেবারে লুপ্ত । হইয়া যাইবে। প্রাচীরের উপর কোনও আচ্ছাদন নাই, কোনও দিন ছিল কি না সে বিষয়েও সন্দেহ। মির্জানগরে যে সকল ধবংসাবশেষ দেখিতে পাওয়া যায় তাহা হইতে স্পষ্টই প্রতীয়মান হইতেছে, যে, কোনও সময় এই স্থানে এক পরাক্রান্ত মুসলমান বাস করিতেন। স্থানীয় কিম্বদন্তী এই যে, কিশোর খাঁ নামে । মুর্শিদাবাদের এক নবাব মির্জানগরে মধ্যে মধ্যে অবস্থান করিতেন। কিশোর খাঁ একজন পরাক্রান্ত ও অত্যাচারী জমীদার ছিলেন, এতদ্ভিন্ন স্থানীয় লোক আর অধিক কিছুই অবগত নহে। তাহারা কিশোর খার নাম উল্লিখিত ধ্বংসাবশিষ্ট “নবাববাড়ী,” “কিল্লাবাড়ী” ও “ইমামবাড়ীর” সহিত বিজড়িত করিয়া সর্বসমক্ষে মাত্র এক অপূর্ব, অসম্বদ্ধ ও জটিল উপাখ্যানের অবতারণা করিয়া থাকে। বলা বাহুল্য, সে সকল গল্পের কিছুমাত্র ঐতিহাসিকতা বা সত্যতা নাই। মির্জানগর এখন একটি সামান্য গ্রাম হইলেও প্রায় শত বর্ষ পূর্বে একজন ইংরাজ কর্তৃক যশোহর জিলার তিনটি বৃহৎ নগরের মধ্যে অন্যতমরূপে * (“one of the three largest towns in the district) isgrfi's হইয়াছে। বোধ হয়, পূর্বে মির্জানগর আয়তনে বৃহৎ ছিল। ১৭৯৮ খষ্টাব্দে হিদায়তুল্লা ও রহমতুল্লা নামক দুই ব্যক্তি যশোহরের তৎকালীন কালেক্টরের নিকট নিম্নলিখিত মর্ম্মে এক আবেদনপত্র উপস্থিত করিয়াছিলেন - “আমাদের প্রপিতামহ নুরুউল্লা খাঁ সম্রাট ঔরঙ্গজেবের ধর্ম্মভ্রাতা ছিলেন এবং তৎকর্তৃক বঙ্গদেশের নবাবনাজিমপদে প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিলেন। বঙ্গদেশের পূর্ব পুর্ব নবাবনাজিমগণের আবাসস্থান মির্জানগরে তিনি