পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ ৷৷ ব্যর্থ প্রেম । ఆ& ংগ্রামে বদ্ধপরিকর। তিনি একাধারে জনক ও জননী হইয়া মাতৃহীন পুত্রকে পালন করিতে লাগিলেন। র্তাহার। পশার বাড়িতে লাগিল—অবসর - অল্প হইয়া আসিতে লাগিল ; কিন্তু তিনি আমার আহার হইতে পাঠ পর্য্যন্ত সব স্বয়ং দেখিতেন। ক্রমে আমাকে না হইলে তঁহার চালিত না । দশ বৎসর কাটিয়া গেল। বিশেষ উল্লেখযোগ্য কোন ঘটনা ঘটিল না। পিতার যশ চারিদিকে ব্যাপ্ত হইয়া পড়িয়াছে। কিন্তু সমাজে তিনি সম্মানিত হইলেও সমাদৃত নহেন। তিনি সমাজে মিসিতেন না। র্তাহার জীবনে যেন কোন সুখ ছিল না ; কেবল ব্যবসায় লইয়া তিনি বিব্রত থাকিতেন ; তাহাতেই অত্যন্ত মনোযোগ দিতেন। এই সময় বাঙ্গালার মরা গাঙ্গে ভাবের ভরা জোয়ার আসিল ।-দেশে শিল্প বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠা করিয়া দেশের দারিদ্র্য সমস্যার সমাধানের যে চেষ্টা পূর্ব হইতে বিদেশী ব্যবসায়ী ও স্বদেশী অর্থনীতিবিশারদগণের উপদেশে এত দিন প্রধূমিত হইতেছিল এক্ষণে তাহ প্রজ্বলিত হইয়া উঠিল ; যাহা দেশের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের অংশমাত্রে নিবদ্ধ ছিল তাহা সমাজের সর্বত্র ছড়াইয়া পড়িল । যেমন প্রবল বন্যায় কুল ছাপাইলে জল উচ্চ-শুষ্ক ভূমিখণ্ডেও ছড়াইয়া পড়ে তেমনই এই ভাব সমাজে সকলকেই স্পর্শ করিল । সর্ববিষয়ে উদাসীন পিতৃদেবও স্থির থাকিতে পারিলেন না । দেশে শিল্প বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠা করিতে হইবে । বিচার অপেক্ষা উৎসাহের মাত্রাধিক্য লক্ষিত হুইল। পিতা বলিলেন- অর্থ ব্যতীত শিল্প বাণিজ্যের প্রতিষ্ঠা হইবে না, বৃহৎ অনুষ্ঠান একের দ্বারা সাধিত হইতে পারে না । তিনি আমাকে ব্যাঙ্কের কাব্য শিখিবার জন্য, যুরোপে পাঠাইলেন-স্বয়ং। উদ্যোগী হইয়া ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠিত করিলেন । আমি দুই বৎসর বিদেশে কাব্য শিখিয়া স্বদেশে ফিরিবার উদ্যোগ করিতেছি এমন সময় টেলিগ্রাম পাইলাম, পিতা পীড়িত। দেশে ফিরিয়া দেখিলাম পিতা মৃত । তাহার প্রতিষ্ঠিত ব্যাঙ্কে সহকারী কার্য্যাধ্যক্ষরূপে কাষ করিতে লাগিলাম। এখনও সেই কার্য্যেই নিযুক্ত আছি। V) যথাসম্ভব সত্বর কায শেষ করিয়া আফিস হইতে বাহির হইলাম। যখন গন্তব্য গৃহে উপনীত হইলাম, তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়াছে। হােটেলে সন্ধান করিলে কর্ম্মচারী আমাকে অধ্যাক্ষের নিকট লইয়া যাইলেন। অধ্যক্ষ সুমাৱ ।