পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যাবর্ত্ত । । ७क्ष वर्ष-२भ ज९थां । سوو� বিলাত হইতে আসিয়াছেন তঁাহাকে হোটেলে রোগযন্ত্রণা ভোগ করিতে দেওয়া অন্যায়। তিনি জিদ করিতে লাগিলেন—ৰ্তাহাকে আজই গৃহে আনিতে হইবে । ) অগত্যা আমি সন্ধ্যার পূর্বে আবার হোটেলে উপনীত হইলাম। গৃহিণীর প্রস্তাব শুনিয়া মহিলাটির নয়নে আনন্দদীপ্তি ফুটিয়া উঠিল। সন্ধ্যার পর আমি তাহাকে লইয়া গৃহে আসিলাম । R প্রভাতে আমি গাড়ীব্বারান্দার ছাতে আমার অতিথির জন্য অপেক্ষা করিতেছি এমন সময় আমারু স্ত্রীর সঙ্গে তিনি তথায় উপস্থিত হইলেন। তখন বসন্তে আমার গৃহপ্রাঙ্গণস্থ উপবন কুসুমবাহুল্যে সুন্দর। প্রভাতের স্নিগ্ধ রবি করে বিকশিত ফুলগুলি মৃদু পাবনান্দোলনে হেলিতেছে-দুলিতেছে। দেখিয়া তিনি যেন আনন্দে অধীর হইলেন ; বলিলেন, “এই কুসুমবাহুল্য। -- এ সৌন্দর্য্য-এই মায়াপুরীর আভাস---এই কবির দেশেরই উপযুক্ত।” তাহার সতুষ্ণ নয়ন যেন সেই সৌন্দর্য্য সাগ্রহে পান করিতে লাগিল। সৌন্দর্য্য উপভোগ করিবার ক্ষমতা সকলের নাই-সকলে তাহার অনুশীলন করিতে জানে না । তাহার পর তিনি আমাদের সঙ্গে গৃহ দেখিতে লাগিলেন। এ ঘর ও ঘর দেখিয়া ক্রমে আমরা বৈঠকখানায় উপনীত হইলাম। কক্ষের প্রাচীরে পিতৃদেবের একখানি পূর্ণাবয়ব প্রতিকৃতি বিলম্বিত ছিল। কক্ষে প্রবেশ করিলেই সেখানির উপর তঁহার দৃষ্টি পড়িল। র্তাহার শরীর যেন কঁপিয়া উঠিল। আমার স্ত্রী তাহাকে ধরিয়া একখানি সোফায় শায়িত করিলেন । তখনও তঁাহার সর্বাঙ্গ। কঁাপিতেছে—তিনি সংজ্ঞাহীন । আমি ডাক্তার আনিতে পাঠাইলাম । ডাক্তার যখন আসিলেন তখন • তিনি সংজ্ঞালাভ করিয়াছেন ; কিন্তু অত্যন্ত অসুস্থ। তাহার অবস্থা দেখিয়া ডাক্তার ভয় পাইলেন ; বলিলেন, “যখন তখন মৃত্যু ঘটিতে পারে।” রাত্রিতে তাহার সুনিদ্রা হইল না । প্রভাতেও তিনি সুস্থ হইতে পারিলেন না। তিনি ক্রমেই দুর্বল হইয়া পড়িতে লাগিলেন। সমস্ত দিন তিনি রোগযন্ত্রণা ভোগ করিতে লাগিলেন। কিন্তু ঠাহার ধৈর্য্য ও সহিষ্ণুতা দেখিলে বিস্মিত হইতে হয়। তিনি আমার স্ত্রীকে পুনঃ পুনঃ বলিতে লাগিলেন,-“আমি অপরিচিত।-কোন বিদেশ হইতে আসিয়া তোমাদের কত কষ্ট দিতেছি!” এই ভাবে দুই দিন কাটিল ।