পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৮৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

འ༠, আর্য্যাবর্ত্ত ७भ दर्द->भ जश्rों । যাইবার পর আকাশে মেঘসঞ্চার হইতে লাগিল । মাঝিরা নৌকা ফিরাইল । দেখিতে দেখিতে পশ্চিম গগনে মেঘের উপর মেঘ, পুঞ্জীভূত হইতে লাগিল। অস্তগমনোন্মুখী তপনের কিরণে সেই গাঢ় ধূসর মেঘমালার অৰ্দ্ধাংশ রক্তপাটল বর্ণে রঞ্জিত হইল-যেন দিগন্তে ধূমরাশি ভেদ করিয়া অগ্নির রক্তশিখা উখিত হইতেছে। আকাশের এই প্রলয়মূর্ত্তি দেখিয়া নাবিকগণ ভীত হইল ; তাহারা বুঝিল এখনই প্রবল ঝটিকা আবদ্ধ হইবে। হইলও তাঁহাই। পশ্চিম ' দিক হইতে প্রবল বাত্যা উঠিল। নদীর জল উচ্ছসিত হইয়া উঠিল। কর্ণধার সাবধান হইয়া দাড় ধরিল। বাত্যার দ্বিতীয় আঘাতে নৌকা ঘুরিয়া গেল। নাবিকগণ বলিল, “সাবধান-নৌকা উণ্টইয়া যাইবে।” নৌকা টলিয়া উঠিল। আমরা তরঙ্গভরঙ্গভীষণ নদীর জলে। লাফাইয়া পড়িলাম । আমি সন্তরণ জানি না। নিশ্চয় মৃত্যুর সম্ভাবনায় আমি চারি দিক অন্ধকার দেখিলাম। জীবনের মধ্যাহ্নের পূর্বে অজস্র সুখসম্ভাবনারম্য জীবন ত্যাগ করিবার সম্ভাবনা কি যাতনার তাহা ভুক্তিভোগী ব্যতীত আর কেহ বুঝিতে পরিবে না। সেই বিপদকালে আমার ভ্রাতাও আত্মজীবন রক্ষার চেষ্টায় আপনার সমস্ত শক্তি নিয়োজিত করিলেন। কিন্তু তোমার পিতা আপনার জীবন বিপন্ন করিয়া সেই সলিল-সমাধি হইতে আমার উদ্ধারচেষ্টায় চেষ্টিত হইলেন । তিনি আসিয়া আমার তরঙ্গে তরঙ্গে তরঙ্গায়িত কেশপাশ ধরিয়া আমাকে কুলের দিকে লইয়া চলিলেন। আমরা যখন কুলের নিকট পৌছিলাম -তখন ভয়ে ও শ্রান্তিতে আমি অবসন্ন। তিনি আমাকে বহন করিয়া কুলে উঠিলেন। মৃত্যু ও জীবনের সেই সন্ধিক্ষণে-সেই নিবিড় আলিঙ্গনে আমার তরুণ হৃদয়ে যে প্রগাঢ় প্রশংসার ভাব জাগিয়া উঠিল। তাহার পরিণতি কিসে-গতি কোথায় ?” কিছুক্ষণ নীরব থাকিয়া তিনি আবার বলিলেন“আমরা ইংলেণ্ডে ফিরিলাম। কয় মাস-কাটিয়া গেল। এক দিন সন্ধ্যায় আমরা সকলে আমাদের অগ্নিকুণ্ডের পার্শ্বে সমবেত হইলাম। বাহিরে বৃষ্টি পড়িতেছিল-আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। তোমার পিতা ভারতের-বাঙ্গালার • বাসস্তী শোভার বর্ণনা করিতেছিলেন। বসন্তের সুষমাদৃশ্য যেন আমি প্রত্যক্ষ করিতেছিলাম। আমি বলিলাম, “কি সুন্দর দেশ !’ আমার ভ্রাতা বোধ হয়। পূর্ব হইতেই আমার মনোভাব বুঝিতে পারিয়াছিলেন। তিনি বলিলেন, "মিষ্টার ঘোষ আর এক বৎসর পরে আপনি দেশে ফিরিবেন। ভাবিতেছেন।