পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈশাখ, ১৩১৯ ৷৷ ব্যর্থ প্রেম १> দেখিতেছি, আপনার একক প্রত্যাবর্তন ঘটিয়া উঠিবে না-আমার ভগিনীটিকে সঙ্গে লইয়া যাইতে হইবে।” সহসা তঁহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল । তিনি বলিলেন, “আমি দেখিতেছি, আমি আপনাদিগকে প্রতারিত করিয়াছি। আমাদের দেশে-আমাদের সমাজে অপেক্ষাকৃত অল্প বয়সে বিবাহ হয় । ? আমি বিবাহিত-আমার একটি পুত্রও বর্তমান।” তাহার পর তিনি বলিলেন, ‘আর য়ুরোপের প্রফুল্ল কুসুম ভারতে স্নান হইয়া যাইবে। এলিজাবেথের করালাভের জন্য ইংলণ্ডে বহু গুণী ও বহু ধনী ব্যাকুল হইবেন ।’ আমি হৃদয়ে অননুভূতপূর্ব যাতনা অনুভব করিলাম এবং কিছুক্ষণ পরে পার্থের কক্ষে যাইয়া একখানি আরাম কেদারায় শয়ন করি।fাম । আমার নিকট জগৎ শূন্য বোধ হইতে লাগিল। আমি শুনিলাম, যাইবার সময় তিনি আমার ভ্রাতাকে বলিলেন, “মিষ্টার এভান্স, আমার পক্ষে বোধ হয়। আর আপনার গৃহে না আসাই সঙ্গত।’ ভ্রাতা জিজ্ঞাসা করিলেন, ‘কেন ?? তিনি বলিলেন, “আপনি যাহা বলিবেন, তাহা যদি সত্য হয়, যদি আপনার ভগিনীর হৃদয়ে অনুরাগের আভাস লাগিয়া থাকে-তবে আমার পক্ষে আর এ গৃহে না আসাই ভাল।’ ভ্রাতা বলিলেন, ‘পাগল হইয়াছেন ! প্রেম যৌবনের স্বপ্ন। লোক কি কেবল একবারই স্বপ্ন দেখে ?? তিনি গম্ভীর ভাবে বলিলেন, “দেখিবেন, আপনার এ মতের পরিবর্তন করিতে হইবে।” a “র্তাহার স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের সময় আসিল । কিন্তু তিনি বিলম্ব করিতে লাগিলেন। তিনি বলিতেন, তিনি আমাদের বন্ধুত্বে জীবনে যে সুখের স্বাদ পাইয়াছেন—তাহা পূর্বে কখনও পায়েন নাই। আমি বুঝিতাম, তিনি হৃদয়ের সহিত সংগ্রাম করিয়া জয়ী হইতেছেন । কিন্তু সে জয়ে তাহার আনন্দ নাই। তাহার পর তিনি স্বদেশীযাত্রা করিলেন । তখন তাহার জীবনের ইতিহাস আমি সবই শুনিয়াছি। যে বন্ধুত্ব হৃদয়ভাব গোপন করিতে পারে না-তখন আমাদের মধ্যে সেই বন্ধুত্ব সংস্থাপিত ও দৃঢ়ীভূত হইয়াছে। “তিনি দেশে ফিরিবার পর প্রতি সপ্তাহে আমি তাহার পত্র পাইতাম । আমি অসীম আগ্রহে সেই পত্রের প্রতীক্ষা করিতাম। কিছু দিন পরে আমি তোমার জননীর মৃত্যুসংবাদ পাইলাম ; সঙ্গে সঙ্গে সংবাদ পাইলাম, তিনি আসিতেছেন ।” তিনি চুপ করিলেন। আমি বলিলাম, “আপনি বিশ্রাম করুন, আগামী कव्J ङ ञ विव्न् ।।'