পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (তৃতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ԳՀ আর্য্যাবর্ত্ত । ৩য় বর্ষ--১ম সংখ্যা । তিনি বলিলে, “না। না। তাহা হইবে না। আমার ভয় হইতেছে, পাছে তোমাকে সব কথা বলিবার পুর্বেই আমার মৃত্যু ঘটে ।” তিনি বলিলেন“তিনি আসিলেন। আমি দেখিলাম, তাহার মুখে স্বাভাবিক গম্ভীর বিষাদের ভাব নিবিড়তা প্রাপ্ত হইয়াছে। তিনি আমাকে বলিলেন, “আমি অবিবেচনার আবেগে আবার ইংলেণ্ডে আসিয়াছি। আমার পত্নীর সহিত আমার সম্বন্ধের বিষয় তুমি অবগত আছ। তাহার মৃত্যুতে আমি আপনাকে মুক্ত মনে করিয়াছিলাম। কিন্তু আমি ভাবিয়া দেখিলাম, আমি ভ্রান্ত । জীবন যেমন একবারের—সুখর হউক আর দুঃখের হউক তাহার পুনরাবৃত্তি নাই-বিবাহেরও তেমনই পুনরাবৃত্তি নাই। তুমি আমার হৃদয়ের ভাব জান। পত্নীর মৃত্যুতে আপনাকে মুক্ত মনে করিয়া পুনরায় বিবাহ করিলে আমি সমাজের নিকট হেয় না হইতে পারি-কিন্তু আমার আপনার নিকট হেয় হইব-মনুষ্যত্বের ও তোমার অপমান করিব। আমার ভাগ্যে সুখভোগ নাই। আমি কঠোর কর্তব্যকারাগারে ফিরিয়া व्व्यःि । তুমি কেন স্বেচ্ছায় আপনাকে সকল সুখ হইতে নির্বাসিত করিবে ?’- আমার সুখস্বপ্ন ভাঙ্গিয়া গেল ; কিন্তু আমার হৃদয়ে শ্রদ্ধার-ভক্তির যে ভিত্তি সংস্থাপিত হইল। তাহা কিছুতেই বিচলিত হইতে পারে । না। আমি ভাবিলাম,-প্রেমও জীবনে একবার বিকশিত হয়—আর GE “তাহার পর তিনি দেশে ফিরিলেন। সে আজ কত দিনের কথা । আমি প্রতি সপ্তাহে তাহার পত্র পাইতাম, কখনও এ নিয়মের ব্যতিক্রম হইতত্ত্ব না। সে পত্রে আমি তাহার বিষয় সব জানিতে পারিতাম। ব্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা, তোমার যুরোপগমন আমি সব জানিতাম ।

  • তাহার পর এক সপ্তাহে পত্র গেল না ।” তিনি আবার নীরব হইলেন। তঁহার নয়ন হইতে অশ্রু গড়াইয়া পড়িল । দেখিলাম, আমার স্ত্রীর দুই গণ্ড বাহিয়া অশ্রু ঝরিতেছে।
  • কিছুক্ষণ পরে তিনি যেন প্রবল চেষ্টায়, আপনার উচ্ছসিত হৃদয়াবেগ সংযত করিয়া আবার বলিলেন,-

“আমার মন বলিল-বিস্মৃতি বা ভ্রমহেতু নিয়মে এ ব্যতিক্রম ঘটে নাই। তথাপি আমি আশা করিতে লাগিলাম ।