পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6ła R আর্য্যাবর্ত । ཅེ་སྟོག་སོ་སོ་ལi ། “কেন ?” “যে ফুল ফুটিয়াছে, তাহার আর গৌরব কি ? যে ফুটিবে তাহারই আদর অধিক ৷” “যে ফুটিয়া উঠিয়াছে তাহারই গৌরব। যে ফুটিবে তাহার পথ ত বিয়বহুল।” “কিন্তু সে-ই ত স্মৃহিণীয়।” অপেক্ষাকৃত অধিক বয়স্ক যুবক এতক্ষণ রমণীদ্বয়ের দিকে চাহিয়া ছিল। এখন গম্ভীরভাবে বলিল, কিন্তু বলিকার কথাতেই কালিদাস বলিয়াছেন, ঃ- ‘অনাস্ত্রাতং পুষ্পং কিসলয়মলুনং কররূহৈ অনাবিদ্ধং রত্নং মধু নবমনাশ্বাদতরসম। ख्ञश्७१ श्रृTाना१ काव्यभिच । ऊ*मनश्श् ন জানে ভোক্তারিং কমিহি সমুপস্থিাস্যাতিবিধি: ॥” * কি বলেন যতীশ বাৰু ?” যে যুবক এইরূপে জিজ্ঞাসিত হইল, তাহার বয়স উনবিংশ বংসের অতিক্রম করে নাই। সে একটু হাসিল । তাহার ভাবে বোধ হয়, সে স্বভাবতঃ একটু লাজুক ; এই সকল প্রগলভ ও উচ্ছঙ্খল যুবকদিগের সংসর্গে পড়িয়াও এখনও স্বাভাবিক লজ্জাশীলতা পরিত্যাগ করিতে পারে নাই । এক জন যুবক বলিল, “অমুল্য বাবুর সংস্কৃত সাহিত্যটি ভালরূপই পাঠ করা আছে।” . অমূল্যচরণের অভিমান তৃপ্ত হইল। সে বলিল, “এককালে কেবল সংস্কৃত সাহিত্যেরই আলোচনা করিয়াছিলাম । এমন সর্ব্বাঙ্গসুন্দর সাহিত্য আর নাই ।” অমূল্যচরণ এমন ভাবে এ কথাটা বলিল যেন জগতের সকল সাহিত্যের সহিত তাহার ঘনিষ্ঠ পরিচয় আছে। বাস্তবিক তাহার পরিচয় আধুনিক বাঙ্গালা সাহিত্যের সহিত ঘনিষ্ঠ, সংস্কৃতের সহিত অল্প, ইংরাজীর সহিত নগণ্য। অন্য কোন সাহিত্যের সহিত তাহার কোনরূপ পরিচয়ই নাই। অপরের নিকট হইতে সংগৃহীত মতকে মৌলিকতার আবরণ দিতে তাহার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল। যে যুবক তর্কে যুবতীর সৌন্দর্য্যের প্রাধান্ত কীর্ত্তন করিয়াছিল, সে বলিল, “কালিদাসের কথায় আমাদের কায কি ?” ভাবে বোধ হইল, সে শ্লোকটির অর্থ বুঝিতে পারে নাই। T • এই অনবদ্যদেহ অনাত্মাত কুসুম, নখয়ে আচ্ছিন্ন কিশলয়, অনাবিন্ধ রত্ন, অনাস্বাদিতরস মৰ মধু, পুণ্যের পূর্ণ পুরস্কার-জানি না কে ইহা ভোগ করিতে পাইবে ?