পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, ১৩১৮৷৷ もt*-C5ta ७8१ বঁশী-চোর। “হা, গোপাল, একি হ’ল ? হায়, মহাপ্রভু, এ কি করিলে?” বৃদ্ধ পুরোহিত দেউলের মধ্যে গরুড়স্তম্ভে মাথা ঠুকিয়া গোপালের দিকে কাতর। ভাবে চাহিয়া কেবল বলিতেছেন, “হায়, গোপাল, এ কি করিলে প্রভু ?” অন্যান্য সেবকরা মশাল ধরাইয়া, মন্দিরের বাহিরের প্রাঙ্গণে ব্যস্ত ভাৰে ঘুরিতেছে, মন্দিরের মধ্যে দশটির স্থলে আজ শত ঘূতিপ্রদীপ জ্বলিতেছে ; সকলে চিন্তাকুল ভাবে একই স্থান শতবার অন্বেষণ করিতেছে এবং তাহার পরীক্ষণেই মনে করিতেছে, সেই স্থানটিই ভাল করিয়া দেখা হয় নাই। কাহারও মুখে কথা নাই। যে ব্যক্তি প্রতিদিন ঠাকুরের নটবরবেশ, রাখালবেশ, রাজবেশ, প্রভৃতি নানা বেশ রচনা করিয়া দেয়-সে বেদীর সম্মুখে দণ্ডবৎ পড়িয়া রহিয়াছে এবং মধ্যে মধ্যে কাতরস্বরে বলিতেছে “অ্যা-হে মহাপ্রভু !” রজনী প্রভাতকল্প। প্রভাতের তারা দিবাকে স্বাগত জানাইবার জন্য শুভ্র পুতবেশে পুর্ব্ব গগনে প্রতীক্ষা করিতেছে। পূর্বদিক পাণ্ডুর হইয়া উঠিতেছে। কিন্তু দেউলে আজ মঙ্গল-ধূপে’র আরতি বাজিয়া উঠিল না। পল্লীবাসী কঁাসির ঘণ্টা না শুনিতে পাইয়া অভ্যস্ত সংস্কারবশে মনে করিল, এখনও প্রভাত হইতে বিলম্ব আছে। প্রতিদিন যে মঙ্গল-ধূপের বাদ্য শুনিয়া তাহাদের নিদ্রা বিদায় &छ्° ८३ ॥ প্রভাত হইবার পূর্বেই গৃহে গৃহে দুঃসংবাদ প্রচারিত হইল, “গোপালের বঁাশী চুরি গিয়াছে!” বুদ্ধগণ কর্ণে হস্ত প্রদান করিলেন, অমঙ্গলীশঙ্কায় জননীগণ সন্তানকে বক্ষে টানিয়া লইলেন, অন্য সকলে বিশ্বফারিত-বদনে শুধু চাহিয়া রহিল । দেখিতে দেখিতে মন্দির জনাকীর্ণ হইয়া উঠিল । নিকটস্থ বকুলবন লোকের কোলাহলে তাহার বিজনশান্তি পরিহার করিল। অগণিত ভক্ত দেউলের অভ্যন্তরে, চত্বরে, সোপানোপরি করজোড়ে দাড়াইয়া দেবতার নিকট আকুল ভাবে প্রার্থনা করিতেছে। সে জনতা কখনও মৌনভাবে দেবতার দিকে চাহিয়া মিনতি করিতেছে, কখনও বা শত শত কণ্ঠে “হা গোপাল, হা মহাপ্রভু, হা কেশব” শব্দে মন্দিরের গম্বুজে প্রতিধ্বনিকে জাগাইয়া তুলিয়া এক তুমুল কোলাহলের সৃষ্টি করিতেছে। আবার তখনই সব নিস্তব্ধ হইয়া যাইতেছে। বৃদ্ধ পুরোহিত তখনও গরুড়স্তম্ভের পার্শ্বে দাড়াইয়া একদৃষ্টি দেবমূর্ত্তির দিকে R