পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আয়ুর্ব্বেদের ইতিহাস। శ్రీసిగి هدفد ,chs র্তাহারা বহির্জগতের সহিত মানবদেহের সম্বন্ধ বুঝিতেন ; সুর্য্যোদয় হইলে উত্তাপে ও আলোকে পৃথিবী হাসিয়া উঠে ; বায়ুর সাহায্যে সেই উত্তাপ ছড়াইয়া পড়ে ; জলের শৈত্যগুণে আবার তাহা শীতল হইয়া যায় ; এই প্রাকৃতিক নিয়ম দেখিয়া, তাহারা স্থির করিয়াছিলেন-জীবদেহেও তাপের অস্তিত্ব আছে, সেই তাপে খাদ্য পরিপাক হয়। শরীরে এমন একটি শক্তি আছে-যে তাহার সাহায্যে রস রক্ত শিরায় শিরায় প্রবাহিত হইয়া থাকে। বৈদিক আর্য বুঝিয়াছিলেন—ত্রিধাতু শর্ম্মং বহুতং । যে শক্তি বহির্জগতে বায়ু, তাপ, জল,- শারীরক্ষেত্রে তাহাঁই বাত, পিত্ত, কফ। এই ত্রিধাতু প্রকৃতিস্থ থাকিলে দেহ সুস্থ থাকে, ইহাদের বিকৃতির নাম-ব্যাধি। এইরূপে পৃথিবীতে রোগের নিদান প্রথম আবিষ্কৃত হইল। ঋগ্বেদ যত দিনের, এ নিদানও তত দিনের। ঔষধ । —ঋগ্বেদের সময় আর্য্য ঋষিগণ এক সহস্ৰ একশত ঔষধ আবিস্কৃত করিয়াছিলেন। পশুরা বিষাক্ত দ্রব্যে প্রায়ই মুখ দেয় না। বৈদিক আর্য পশুদিগের প্রতি খাদ্যনিৰ্বাচনের ভার দিয়াছিলেন। বৈদিকযুগের সোম-প্রস্তুত-প্রণালী-রসায়ন শাস্ত্রের সুতিকাগৃহ। ভ্রাণতত্ত্ব ।--জীবন যে কি পদার্থ বৈদিক ঋষি তাহা বুঝিয়াছিলেন ও জীবনের প্রথম অবস্থা জানিবার জন্য ক্রণতত্ত্বের আলোচনা করিয়াছিলেন । ঋগ্ধেদের সেই-বিষ্ণুর্যোনিং কল্পয়াতু শ্লোকটি পড়িলেই আপনারা বৈদিক যুগের গর্ভতত্ত্ব যে কতদূর অনুসন্ধানের ফল—তাহা বুঝিতে পরিবেন। আধুনিক Embryologyতে তদপেক্ষা নুতন কথা অধিক নাই। স্বাস্থ্যতত্ত্ব —বৈদিক আর্য্য স্বাস্থ্যতত্ত্ব সম্বন্ধেও যথেষ্ট অনুসন্ধান করিয়াছিলেন। আজকাল ডাক্তারদিগের মুখে শুনিতে পাই, বিশুদ্ধ বায়ু, বিশুদ্ধ জল ও আলোক-স্বাস্থ্যের প্রধান উপাদান। পঞ্চ সহস্ৰ বৎসর পূর্বে বৈদিক আর্যও ইহা জানিতেন। “অবাস্তবাহি ভেষজম, ত্বংহি বিশ্বে ভেষজঃ” “আপো যাচামি ভেষজম” প্রভৃতি পড়িলে বুঝা যায়, তাহারা বায়ু, জল ও আলোককে অমৃতের সহোদর বলিয়া স্তব করিতেন। এখনও যে “আপোহিষ্টতি” মন্ত্র ভাগীরথীর ফুলে কুলে ধ্বনিত হয়-‘সে পবিত্র মন্ত্র আর কিছুই নহে-কেবল সূর্য্যরশ্মি ও বিশুদ্ধ সলিলের আবাহন। যে সকল বৃক্ষের বাতাস ভাল, তঁহাদের নিকট সে সকল বৃক্ষ দেৰ সদৃশ পূজ্য ছিল। ধাত্রী-বিদ্যা -বৈদিক বৈদ্যা মূঢ়গর্ভে প্রশ্নতির কুক্ষিভেদ করিয়া, যন্ত্রেয় गांईई) जलान जांश्व कब्रिडन ।