পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ზაჭ আর্য্যাবর্ত্ত २भ वर्ष-२म મશઃ উপায়, ভক্তি ও জ্ঞানের প্রকার ভেদ, মায়া, লয়, ইত্যাদি বিবিধ বিষয় এক একটি চতুৰ্দশপদী কবিতাতে বর্ণিত হইয়াছে। তত্ত্বপিপাসু পাঠক এইগুলি পাঠ করিয়া ইন্দ্রিয়বৃত্তির অন্তমুখিত সাধন করিতে পরিবেন। কিন্তু আমাদের মনে হয়, চতুর্দশপদীর ক্ষুদ্র পরিসরে নিগুঢ় আত্মতত্ত্ব সম্যকরূপে পরিস্ফুট হইতে পারে না। এই অধ্যায়ের প্রথম কবিতা ( অথবা গান ? ) “শূন্য” বর্জন করিলেই ভাল হইত। ‘এই পথ দিয়ে” কবিতাটিতে ব্রাউনিংএর One Way of Love কবিতার ভাবানুকরণে কবি অক্ষয়কুমার বড়াল রচিত ‘এই পথ দিয়ে গেছে” কবিতার ছায়া দৃষ্ট হইল। ভুজঙ্গবাবু লিখিয়াছেন :- তোমারে মাথায় করি? পাগল শঙ্কর अभिलेि q भटनां°igथ ब्रिांछिल 5'gन'। 米 তাই তোর তনুগন্ধে মোদিত সোপান । ওখানে আফোটা মোর কতগুলি ফুল অকস্মাৎ ফুটিয়াছে পদ-পরশনে, ওখানে জড়ায়ে গেছে এক গাছি চুল রাঙা পা’র মোছা দাগ ওই দীঘি কোণে । दांव कवि विभिभू6िछन “4३ °ाथ द्मिा ८१८छ, qथ८नl cषहऊCछ (ल९| শত শুভ্র তুণ-ফুলে চরণ-অলক্ত-রেখা 米 米 本 本 এই পথ দিয়ে গেছে, বসে গেছে নদীকুলে গোখে গেছে ফুলমালা পরে যেতে গেছে ভুলে।”-ইত্যাদি। মনে হয়, ভূজঙ্গ বাবু কেবল 'অরণি'-পর্য্যায় ভুক্ত করিবার জন্যই এই কবিতায় শঙ্কর ও সতীদেহের অবতারণা করিয়াছেন। ইহাতে কাব্য হিসাবে কবিতাটি ব্যর্থ হইয়াছে। সতী যখন “শিবশিরে’ নিদ্রিতা ছিলেন, তখন তঁহার পদম্পর্শে ফুল ফোটা ও দীঘিকোণে রাঙা পায় মোছা দাগ থাকা কিরূপে ঘাঁটতে পারে, নূপুরের রোলই বা কিরূপে সম্ভবে ? 'তাণ্ডব’ কবিতাটির ভাষা ও ছন্দঃ বিষয়ের গৌরব রক্ষা করিতে পারে নাই । পুস্তকের ভাষা মার্জিত । ছন্দঃ ও মিল সম্বন্ধে দুই এক স্থলে যে অন্নৰধানতায় চিহ্ন দৃষ্ট হইল, তাহা উল্লেখ-যোগ্য নহে। উপসংহারে, আমরা সর্ব্বান্তঃকরণে প্রার্থনা করিতেছি যে, ভূজঙ্গাধর বাবুর কবিজীবনের গোধূলি সুদূৱবর্ত্তী হউক। শ্রী রমণীমোহন ঘোষ ।