পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*र्बिस्, २७» । ब्रांबांब्र१७ मार्शङॉब्रड् । e os “পদবন্ধোই ক্ষরসমস্তন্ত্রীলগ্নসমন্বিতঃ । শোকার্ভস্য প্রবৃত্তো মে লোকো ভৰতু মানােখা।" “এই পদবন্ধ সমান।াক্ষর-সমন্বিত, তন্ত্রীলয়ে সঙ্গীতযোগ্য বাক্য আমায় শোকার্ত্ত হৃদয় হইতে স্বতঃ বাহির হইয়াছে, সুতরাং ইহার নাম “শ্লোক” হউক, অন্যথা না হয়। শিষ্য গুরুবাক্যের অনুমোদন করিলেন। অল্পক্ষিণ পরেই ব্রহ্মা বাল্মীকির সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। চতুরানন বাল্মীকিকে ঐ রূপ শ্লোকে রামায়ণ রচনা করিতে অনুরোধ করিলেন। তদনুসারে বাল্মীকি কর্তৃক রামায়ণ ब्रङि दध्न । এই বৃত্তান্ত হইতে আমরা কয়েকটি আবশ্যক তথ্য জানিতে পারি। (১) রামায়ণ-প্রণেতা ৰাক্ষ্মীকি রামচন্দ্রের সমসাময়িক । (২) রামায়ণ, মহাভারত ও পুরাণাদি যে অনুষ্টুপ ছন্দে রচিত বাক্ষ্মীকিই সেই ছন্দের। প্রবর্ত্তক। সেই জন্য বাল্মীকি আদি কবি * এবং রামায়ণ আদি কাব্য । নামে পরিচিত । ( ৩) পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ। ইদানীং বহু গবেষণার ও চিন্তার দ্বারা সিদ্ধান্ত করিয়াছেন যে, উচ্ছসিত শোকাবেগ হৃদয়তন্ত্রীতে প্রবল ভাবে আঘাত করিলে কণ্ঠস্বর তরঙ্গায়িত ও কোমল হয়, ফলে সেই শোকার্ত্ত মানবের কণ্ঠ হইতে পাদবদ্ধ তন্ত্রীলয়সমন্বিত বাক্যাবলি স্বতঃই বহির্গত হইয়া থাকে। মহামুনি বাল্মীকির কণ্ঠ-নিস্থত শ্লোকের উৎপত্তি-বিবরণ সেই মতেরই সমর্থনা করিতেছে। রামায়ণের এই বিবরণ হইতেই সপ্রমাণ হইতেছে যে, বেদব্যাস কর্তৃক মহাভারত রচিত হইবার পূর্বে বাল্মীকি রামায়ণ রচনা করিয়াছিলেন। মহর্ষি কৃষ্ণদ্বৈপায়ন বেদব্যাস বাল্মীকির প্রবর্তিত অনুষ্টুপ ছন্দের শ্লোকেই মহাভারত রচিয়াছিলেন। এখন দেখা যাউক, এসম্বন্ধে মহাভারত কি বলেন। মহাভারতের আদিপর্বে দ্বিতীয় অধ্যায়ে সমান্তপঞ্চক বর্ণনে লিখিত আছে, - “ত্রেতাশ্বাপরয়োঃ সন্ধেী রামঃ শস্ত্রভূতাং বরঃ। অসকৃৎ পার্থিবং ক্ষত্রং জঘানামর্যাচাদিতঃ।"

  • হেমচন্দ্র । + “আদিকাব্যামিদং চার্যং পুৱা বাল্মীকিনা। কৃতম্।।” (লকাকাণ্ড ১৩০৷৷১০৫ ) এই আর্য ও আদিকার্য পুরাকালে বাল্মীকি কর্তৃক রচিত হইয়াছিল।