পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আঁর্য্যাবর্ত্ত २त्रं वंर्ष-» शेषं । · هما পূর্বে রাজার, ধনবানগণ, শিক্ষিত সম্প্রদায় ও ধর্ম্মপ্রাণ ব্যক্তিরা এই শিক্ষাবিস্তার-কার্য্যে সহায়তা করাতেই ইহার উন্নতি সম্ভবপর হইয়াছিল। বর্তমানকালে গভর্ণমেণ্ট শিক্ষাবিস্তারে কিছু অর্থ ব্যয় করিতেছেন। এবার সম্রাট স্বীয় সাম্রাজ্যপরিভ্রমণ স্মরণীয় করিবার উদ্দেশ্যে শিক্ষার জন্য-শিক্ষাবিস্তারে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দান করিয়াছেন। চেষ্টা করিলে সরকারী সাহায্যের মাত্রা DBDJLq BD DBDDB BD DBSS S SBDD D DBD DD পূর্বেই বলিয়াছি, সেকালে হিন্দু সমাজে অর্থশালীরা শিক্ষকদিগকে অর্থসাহায্য করিতেন। শিক্ষকগণ ছাত্রাদিগকে গৃহে রাখিয়া-আহার্য্য ও শিক্ষা দান করিতেন। তখন শিক্ষাদান ব্যবসায়-অর্থাগমের উপায় ছিল না ; পরন্তু জনসাধারণের প্রতি সহানুভূতি হইতে উৎপন্ন পরার্থে আত্মোৎসর্গের নামান্তরমাত্র ছিল। সেই উচ্চ আদর্শের পুনরুদ্ধার করিতে হইবে। যাহারা শিক্ষিত র্তাহাদিগকে বুঝিতে হইবে, অশিক্ষিতদিগকে শিক্ষাদান করা তাহদের কর্ত্তব্য ; যাহারা অর্থশালী তাহাদিগকে বুঝিতে হইবে, শিক্ষাবিস্তারে সাহায্য করিয়া সমাজের উন্নতিসাধনে সহায়তা না করিলে র্তাহার কর্ত্তব্যচ্যুত হইবেন। আজ বঙ্গদেশে বিশ লক্ষ হিন্দু বালক অশিক্ষিত অবস্থায় কালযাপন করিতেছে। ইহাদিগের শিক্ষার ব্যবস্থা করিতে না পারিলে সমাজের পঙ্গুত্ব ঘুচিবে না-জাতীয় উন্নতির উপায় নাই। কিন্তু ইহাদিগকে শিক্ষা দিবার উপায় কি ? সকল সম্প্রদায়ের সমবেত চেষ্টা ব্যতীত এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নহে। আমরা যদি ব্যক্তিগত, বর্ণগত ও শিক্ষাগত সকল প্রভেদ ভুলিয়া একযোগে কার্য্য করিতে পারি, তবেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব হইবে। যাহাতে জাতীয় উন্নতি হইবে, সে কার্য্যে কি আমরা একযোগে রত হইতে পারিব না ? যদি না পারি, আমাদের শিক্ষা ব্যর্থ-জীবন বৃথা । য়ুরোপে শিক্ষাবিস্তার ব্যাপারে দেখা যায়-তথায় সকলকেই শিক্ষিত করিতে আন্তরিক চেষ্টা সপ্রকাশ। তথায় ধনীরা অর্থসাহায্য দিয়া, শিক্ষিতগণ ও ধর্ম্মযাজকগণ চেষ্টা করিয়া সমাজের সকল স্তরে শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করিয়া থাকেন। তাহারই ফলে যুরোপের উন্নতি। আর তাহারই অভাবে আমাদের অসীম দুৰ্দশ । সম্রাট পঞ্চম জর্জ বলিয়াছেন, সহানুভূতি ভারতে ইংরাজ-শাসনের মূলমন্ত্র হইবে। আমরা কি এমনই সঙ্কীর্ণচিত্ত হইয়াছি যে, আমাদিগের