পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ফাগুন, ১৩১৮ । अग्रुषैर्द्धा । هالاسرا তাহার অগ্রে অগ্রে যাইতেছিল। তাঁহাদের কথোপকথন তাহারু শ্রবণগোচর হইল। একজন বলিল, “আজ যাওয়াটাই বৃথা হইল।” আর একজন বলিল, “কেন ?” প্রথম বক্তা বলিল, “কাব্য ত কিছুই অগ্রসর হইল না।”-তৃতীয় জন বলিল, “ওহে পথঘাটের সন্ধান না জানিয়া কি দুর্গ জয় করা যায় ? সব সংবাদ হস্তগত হইলে তখন কর্ত্তব্যনিৰ্দ্ধারণে বিলম্ব হয় না । সাফল্যও সহজ হয়। ক্রমে সব সংবাদ সংগ্রহ করা যাইতেছে।” চতুর্গ ব্যক্তি বলিল, “যোগ্যে যোগ্যে মিলন ". প্রকৃতির নিয়ম। এক্ষেত্রে সে নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটবে কেন ? তবে সব কায । অল্পসময়সাধ্য হয় না।” প্রথম বক্তা বলিল, “সতীশ বাবুর এ বিবাহ সংঘটিত হইবেই।” অমূল্য বাৰু, শ্যামাপূজার সময় আপনি আসিতে পারেন নাই ; আমরা আসিয়াছিলাম। সেই সময় আমরা কথাপ্রসঙ্গে ঠাকুরমা’কে বলিয়াছি, ইচ্ছাপুরে মহেশ্বর ভট্টাচার্য্যের একটি পরম সুন্দরী অবিবাহিত কন্যা আছে। তাহার সহিত যতীশবাবুর বিবাহ হইলে বড় মানায়। সুরেশ আমার কথায় সায় দিয়া বলিয়াছিল, ভট্টাচার্য্য মহাশয়ের বাড়ীর পাশ্বেই তাহার মাতুলালয় ; সেও মেয়েটিকে দেখিয়াছে।” একজন বলিল,“সুরেশের ত মাতুলালয়, আর তোমার?” জিজ্ঞাসিত হইয়া যুবক উত্তরে বলিল, “শ্বশুরালয়।” সে অকৃতদার ; সকলে খুব হাসিল। এমন সময় নৌকা হইতে মাঝি ডাকিতে ডাকিতে আসিল, “বাবুরা—ওগো বাবুৱা ; নৌকায় এই ছড়ি ফেলিয়া আসিয়াছেন।” যুবকগণ পশ্চাদিকে চাহিল। যতীশচন্দ্র দেখিল, ধরণীধর আসিতেছেন। তাহার মুখ বিবর্ণ হইয়া গেল। মুহুর্জের জন্য সে আপনার নয়নকে বিশ্বাস করিতে পারিল না । তাহার পর সে কিংকর্ত্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় কয়েক মুহুর্ত্ত দাড়াইয়া থাকিবার পর যাইয়া পিতৃচরণে প্রণত হইল। তাহার সঙ্গীরা পূর্বে কখনও ধরণীধরকে দেখে নাই। তাহারা বিস্ময়ে নিৰ্বাক DBD DD DS DD uDD B B SDBD S যতীশ নতদূষ্টি হইয়া দাড়াইয়া রহিল ; কি বলিবে বুঝিতে পারিল না। তাহার পদদ্বয় কম্পিত হইতে লাগিল। ধরণীধর পুত্রকে এই বিপদ হইতে উদ্ধার করিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন “ইহার তোমার বন্ধু ?” যতীশ মুখ তুলিল না, মৃদুস্বরে বলিল, “হঁ।” ‘বাটীতে সংবাদ দিয়াছ ? ইহাদের আহারের ব্যবস্থা করা হইয়াছে ?” “瓷 1” তখন ধরণীধর যুবকদিগকে সম্বোধন করিয়া বলিলেন, “আপনার আমার পুত্রের বন্ধু। আমি বিদেশে থাকি, তাই আপনাদিগের সহিত আমার পরিচয়