পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

शाहुन, ४७>b” । অদৃষ্টচক্র եՀֆ भ१९था 2द्विgष्छाल ! পিতাপুত্র। ধরণীধর গৃহে আসিলেন । তখনও যতীশচন্দ্রের বিদ্যালয় বন্ধ হয় নাই ; কাযেই সে কলিকাতায় থাকিত, শনিবারে গৃহে আসিত । সপ্তাহান্তে পিতাপুত্রে সাক্ষাৎ হইত। যতীশচন্দ্রের মনোভাব গোপনের চেষ্টা সত্বেও ধরণীধর স্পষ্ট বুঝিতে পারিতেন, শনিবারে গৃহে আগিয়া যতীশ কেবল ভাবিত, কবে সোমবার আসিবে—সে কলিকাতায় ফিরিয়া যাইবে । পিতা যখন পুত্রকে নিকটে পাইবার জন্য এত ব্যাকুল, পুল তখন পিতার সান্নিধ্য ক্লেশকর বোধ করে ! কেন এমন হয় ? স্নেহশীল পিতা আপনার নিকট আপনাকে দোষী প্রতিপন্ন করিয়া পুত্রের ব্যবহার সমর্থনা করিতে চেষ্টা করিলেন । তিনি ভাবিলেন, দোষ ভঁাহার ; তিনি বিদেশে থাকেন, পিতাপুত্রে বর্ষান্তে বা বর্ষ্যমধ্যে দুইবার সাক্ষাৎ श्न-6नुs অল্পদিনের জন্য ; এ অবস্থায় পিতাপুত্রের মধ্যে স্বাভাবিক মোহসম্বন্ধ শিথিল হওয়া বিস্ময়ের বিষয় নহে। কিন্তু এ চিন্তায়-এই কথায় মন শান্ত হইল না । স্নেহ নিম্নগামী সত্য ; কিন্তু স্নেহ কি দেহ আকৃষ্ট করে না ? আর তিনি যে ংসারের সকল সুখ স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করিয়া নিঃসঙ্গ প্রবাসে জীবন যাপন করিতেছেন, সে কাতার জন্য ? সেই বিদেশে তাহাকে রোগে শুশ্রষা করিবার কেহ নাই ; তাহার মৃত্যুকাল সমাগত হইলে পিপাসা শুল্কমুখে জলবিন্দু দিবার কেহ থাকিবে না, - হয় ত কোন বনমধ্যে বা গিরিশিখরে ভূত্যগণকর্তৃক পরিত্যক্ত তাহার শব্ব শৃগালকুকুরের আহার হইবে। তিনি কাহার জন্য বিদেশে শ্রম করিয়াছেন ও করিতেছেন ? পুত্র কি তাহা বুঝিতে পারে না ? ধরণীধর ভাবিতেন। সে ভাবনায় কেবল যাতনা । তাহার যথেষ্ট অবসর- যে কায লইয়া তিনি সময় কাটাইতেন-হৃদয়ের শোক ভুলিতেন -এখন সে কায নাই, কাযেই ভাবনার অন্ত ছিল না। সময় সময় যখন দুশ্চিন্তার ভারে হৃদয় অবসন্ন হইয়া পড়িত তখন তিনি কোন ধর্ম্মগ্রন্থ পাঠ করতেন ; মনকে ঘুঝাইতেন, তিনি তঁাহার কর্ত্তব্য পালন করিতেছেন-তাহাই তাহার কার্য্য। হায় কর্ত্তব্য, তুমি অনেক সময় সংসারমরুভূমিতে মরীচিকা মাত্র-শ্রাপ্ত পথিককে কেবল দ্বিগুণ যাতনা দান কর । এই ভাবে মাসাধিক কাল কাটিবার পর যতীশচন্দ্রের কলেজ বন্ধ হইল। সে গৃহে আসিতে চাহিল না—তখন ও পরীক্ষার দুই মাস বিলম্ব আছে, এই সময়ের মধ্যে সতীর্ঘদিগের সহিত অনেক আবশ্যক বিষয়ের আলোচনা ও শিক্ষকদিগের