পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tr8br আর্য্যাবর্ত אH &4-ותז*אול "ל ב এই রান্ত ব্যতীত কালীপ্রসাদ আরও বহু সাধারণাহিতকর কার্য্য করিয়াছিলেন। ঐ স্থলে আমরা তাহার কয়েকটির উল্লেখ করিতেছি-১। চন্দ্রনাথ পর্ব্বতে উঠিবার সোপান ২ । আঠারনালা ঘাটের মন্দিরসম্মুখস্থ ইষ্টকনির্ম্মিত নাটমন্দির ৩। ধলেশ্বরী দেবীর মন্দিরসম্মুখস্থ ইষ্টকনির্ম্মিত নাটমন্দির। ৪ । দাইতলা খালের উপরিস্থিত ইষ্টকসেতু ৫ । নীলগঞ্জের নিম্নস্থ ভৈরব নদের উপরিস্থিত ইষ্টকসেতু ৬। নীলগঞ্জের ধর্ম্মশালা ৭। চূড়ামণকাটি চাইতে অগ্রদ্বীপা পর্য্যন্ত বিস্তু৩ এশ মাইলব্যাপী রাজবায়ু ৮ । ঝিকারগাছার নিকটস্থ কপোতাক্ষ নদের উপরিস্থিত লৌহ সেতু। ৯। যাদবপুরের নিকট বেতনা নদীর ইষ্টকস্তুে। ১০ । কান্তপুরের ইষ্টকসেতু। ১১ । নাওডাঙ্গা হরিদাসপুরের ইষ্টকসেতু। ইহার মধ্যে কয়েকটি কার্য্যের সাময়িক সংস্কারব্যয়নিৰ্বাহজন্য কালীপ্রসাদ বার্ষিক তিন শতাধিক মুদ্রা আয়ের ভূমী সম্পত্তি গভর্ণমেণ্টের হস্তে প্রদান করেন। তখন উদারহৃদয় মিষ্টার ওয়ালটার এস, সিটন-কার একাধারে যশোহরের জজ ও কালেক্টর। তিনি গভর্ণমেণ্টকে কালীপ্রসাদের এই সদনুষ্ঠানগুলির কথা লিখিয়া জানাইলে গভর্ণমেণ্ট একজোড়া শাল,একটি জোব্বা এবং সোণার জরি ও মুক্তাখচিত একটি শিরপেচ, খিলাতসহ কালীপ্রসাদকে “রায়” উপাধি প্রদান করিয়া সন্মানিত ও অভিনন্দিত করিবার জন্য মিষ্টার সিটন-কারকে অনুমতি করেন। কালীপ্রসাদকে এই খিলাত ও উপাধি প্রদান উপলক্ষে মিষ্টার সিটন-কার ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দের ৩০শে মার্চ যশোহরে এক দরবারের অনুষ্ঠান করেন। এই দরবারে সিটন-কারের পর ভদ্রলোকদিগের প্রতিনিধিরূপে রায় লোকনাথ বসু ও নীলমাধব ঘোষ কালীপ্রসাদের গুণকীর্ত্তন করিয়াছিলেন। কালীপ্রসাদ সেই স্থলেষ্ট যশোহর গভর্ণমেণ্ট স্কুলে ৪০০২ টাকা, দাতব্য হাঁসপাতালে ১০০২ ও দরবার উপলক্ষে সমবেত দরিদ্রদিগকে ৩০০০ টাকা বিতরণ করিয়া স্বীয় স্বভাবসিদ্ধ বিদ্যান্যতার পরিচয় দিয়াছিলেন । কালীপ্রসাদ চলিয়া গিয়াছেন ; কিন্তু তাহার জনহিতকর পুণ্যকার্য্যাবলী আজিও তাহার কীর্ত্তিকাহিনী ঘোষিত করিতেছে। শ্রীঅশ্বিনীকুমার সেন । . سنگسسسس