পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

?54, o oYv রামায়ণী সভ্যতা । o SN ful সকল অভিনয় দেখিয়া পাঞ্জাব ও গুজরাটের হিন্দুদের অনুকরণবৃত্তি উত্তেজিত হয় ; এইরূপে হিন্দু নাট্টের উৎপত্তি হইয়াছে। এই সকল মত যে সম্পূর্ণ ভ্রান্তিপূর্ণ তাহ ফরাসি পণ্ডিত সিলডেন লিভি প্রদৰ্শিত করিয়াছেন। বাস্তবিক গ্রীক সংশ্রবের পূর্বেও যে ভারতে নাট্টশাস্ত্রের প্রচলন ছিল বুদ্ধের উপদেশ তাহার সুস্পষ্ট প্রমাণ। বুদ্ধদেব ভিক্ষুদিগকে যে দশটি উপদেশ প্রদান করেন তাহার মধ্যে একটি উপদেশ-“নাট্য ক্রীড়া ও সঙ্গীতাদি হইতে বিরত থাকিবে ।” এই উপদেশে স্পষ্টই প্রমাণিত হয় যে বুদ্ধের আবির্ভাবের পূর্বেও ভারতে নাট্টশাস্ত্রের বিশেষ প্রচলন ছিল। রামায়ণের পূর্বে কোনও গ্রন্থে নাট্টসাহিত্যের উল্লেখ নাই। পাণিনিতেও নট শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। ইহার পর রামায়ণে বা ইহার উল্লেখ আছে । গ্রন্থ ব্যতীত কিরূপে নাটকাভিনয় হইতে পারে তদ্বিষয়ে চিন্তা করিলে নাটশাস্ত্রের উৎপত্তির আভাস প্রাপ্ত হওয়া যায় । রামায়ণ প্রথমেই গ্রন্থকারে লিখিত হইয়া প্রচলিত হয় নাই। কথিত আছে তাহ বাল্মীকি কর্তৃক সঙ্গীতকারে রচিত হইয়া এবং স্মৃতিসাহায্যে কুশীলব (?) কর্তৃক গীত হইয়া প্রচারিত হইয়াছিল। স্মৃতি সাহায্যে সঙ্গীত ভাবিপ্রকাশক অঙ্গভঙ্গী দ্বারা গীত হইলেই তাহাতে নাটকীয় ভাবে প্রকাশ পায় । এইরূপ ভাবপ্রকাশ হইতেই নাট্টশাস্ত্রের উৎপত্তি হইয়াছে। ইহার পর গ্রন্থযুগে ভারত মুনি নাট্যসুত্র প্রচার করিয়া নাট্টশাস্ত্রের উন্নতি বিধান করেন । ইহার পর বৈদেশিক ভাবের আদানপ্রদানে গ্রীৰু প্রভাব म९कभिख्5 ठू७श्ना ७ामख्छद मtश् । স্মৃতিশাস্ত্র সম্বন্ধে আমরা রামায়ণী সমাজ অধ্যায়ে উল্লেখ করিয়া আসিয়াছি। তখন হিন্দু সমাজের স্মৃতিতে অনুশাসন বিরাজ করিত ও যে অনুশাসনের বলে সমাজ পরিচালিত হইত গ্রন্থযুগে তাহাই সংগৃহীত ও কালভেদে পরিবৰ্দ্ধিত হইয়। আধুনিক মনুসংহিতার স্কুল কলেবর পঠিত হইয়াছে । শ্রীকেদারনাথ মজুমদার।