পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যাবর্ত্ত । RE K-SR servi 9 ܘ নিবন্ধন ব্রেকে দিতে পারিলাম না, কাযেই মোট লইয়া একখানা গাড়িতে কণ্ডাকটারের নিষেধ অগ্রাহ করিয়া গিয়া উঠিলাম। মধ্যে যে সামান্য সরু রাস্তা তাহাই অবরোধ করিয়া অবাধে দাড়াইয়া রহিলাম ; যাত্রীরা কলরব করিতে লাগিল, গার্ড বকবকি করিতে আরম্ভ করিল ; আমি ভাষা বুঝি না, ভ্রক্ষেপ না করিয়া দাড়াইয়া রহিলাম। বেগতিক দেখিয়া কণ্ডাকটার। আমাকে অঙ্গুলিসঙ্কেতে ডাকিয় তাহার সহিত যাইতে ৰলিল। তখন গাড়ি চলিতেছে ; খুব জোরে বরফ পড়িতে সুরু করিয়াছে। গার্ড আমাকে এক প্রথম শ্রেণীর কক্ষে লইয়া গেল। তথায় দেখি, একজন ইংরাজ। তঁহাকে পাইয়া বড়ই আনন্দ হইল । তবু কিছুক্ষণ কথা বলা যাইবে । তিনিও আমাকে পাইয়া আহ্নলাদিত। সেই বিদেশে আমরা যেন এক-দেশবাসী। গার্ড র্তাহাকে বলিয়া গেল, আমি যেন কিছুক্ষণ পরে স্থান হইলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে যাই। তথাস্তু বলিয়া দুইজনে গল্প আরম্ভ করিলাম। প্রায় ঘণ্টাখানেক পরে সহযাত্রী নামিয়া গেলেন, এ সময়টা বড় সুখে কাটিল । দুই ধারে কাল ও নীল পাহাড়, তাহার উপরে বরফ জমিয়া রহিয়াছে, কোথাও কোথাও শুষ্ঠামল তরুলতা, কোথাও বা হ্রদ দেখা যাইতেছে, চারিপার্থে ধবল হিমানী-বড় সুন্দর দৃশ্য । অল্পক্ষণ পরে যখন সন্ধ্যা হইল, KDDBDBDD BDLD DBBBDBDB BBDBDB BDS BDD D BDBB DDDBBBBDD DBDBD অপূর্ব্ব দৃশ্য প্রতিভাত হইল। সন্ধ্যার পরে সুইটজারল্যাণ্ডের রাজধানী fiefs' (Zurich) is পৌছিলাম। এ স্থানে অৰ্দ্ধ ঘণ্টা অবস্থানের পর পুনরায় অন্য ট্ৰেণে যাত্রা করিলাম। তখন তুষারপাত বন্ধ হইয়াছে। কিন্তু বেশ বৃষ্টি পড়িতেছে। রাত্রি অত্যন্ত অন্ধকার, পথে কিছুই দেখা গেল না। তবে ষ্টেশনে আমাদের দেশে পরিচিত রেলের ঘণ্টার শব্দ শুনিলাম । যুরোপে আর কোথাও রেলে ঘণ্টা বাজান শুনি নাই। প্রায় এক ঘণ্টা পরে নয়হাউসেনে পৌছিলাম। এটি সুইটজারল্যাণ্ডের উত্তর সীমায় একটি অতি ক্ষুদ্র গ্রাম। বিলাতে আসার পূর্বে ইহার নাম শুনি নাই। আমি যখন লণ্ডনে বসিয়া যুরোপ ভ্রমণের ব্যবস্থা করিতেছিলাম, তখন আমাদের হাইকোর্টের জজ বন্ধুবর মিষ্টার সরফুদ্দিন পরামর্শ দেন, নয়হাউসেন না দেখিয়া যাইও না। এ স্থানে রাইন নদীর একটি প্রপাত আছে। নদী এ স্থানে মাত্র ১২৫ গজ চওড়া, কিন্তু খুব খরস্রোতা । কতকগুলি পাতারের গাত্রে আহত হইয়া জল প্রায় একশত ফুট উপর হইতে লাফাইয়া পড়িতেছে। অতি গভীর দৃশ্য। চতুদিকে জল আঘাতে চূর্ণ হইয়া শত ধারায় উঠিয়া ছড়াইয়া পড়িতেছে। প্রপাতের শব্দও খুব গুরু গম্ভীর।