পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৪৯৩

z | প্রত্যাবর্ত্তন। వరీܪܘ ,5s যা’র মনে সন্দেহ উপস্থিত হইলে তঁাহার সে সন্দেহ ভঞ্জন করিতে বিলম্ব হইল না। পুত্রের ও পুত্রবধুর ব্যবহার লক্ষ্য করিয়া তিনি সহজেই পুত্রের বন্ধুবাহুল্যের কারণ বুঝিতে পারিলেন । মৃণালকান্তি ক্রমেই গৃহের সংশ্রবত্যাগের মাত্রা বাড়াইতে লাগিল ; গৃহের বাহিরে সহসা তাহার এত কায যুটিয়া গেল যে, গৃহে থাকিবার সময় অল্প হইয়া আসিল । মা জিজ্ঞাসা করিলে হয় কার্য্য নহে ত নিমন্ত্রণ এইরূপ উত্তর পাইতে লাগিলেন । পুত্রের বাহিরে এই কর্ম্মবাহুল্য ও যে তাহার নিমন্ত্রণেরই মত অস্তিত্বহীন মা’র তাহা বুঝিতে বিলম্ব হইল না । মিথ্যার সুন্ম আবরণ ভেদ করিয়া তাহার তীক্ষ দৃষ্টি সহজেই সত্য দেখিয়া লইল । পুত্রের কার্য্যের বিষয় তিনি যে না জানিতেন, এমন নহে ; কারণ পূর্বে পুত্র আবশুক অনাবশ্যক অনেক কথাই তাহাকে জানাইত ! বাহিরে পুত্রের কাব্য যে পরিমাণে বাড়িয়া চলিল মা’র দুশ্চিন্তা তাহার দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়িতে লাগিল। কিন্তু তিনি সহসা কোন কায করিতে সাহস করিলেন না । তিনি কি করবেন ? এই ভাবে মাসাধিক কাল কাটিয়া গেল। ইহার মধ্যে পতিপত্নী কেহই বিপদের গুরুত্ব উপলব্ধি করিতে পারিল না ; কেহই স্থায়ী সুখের উৎসসন্ধানে যাইতে প্রস্তুত হইল না । উভয়েরই বিশ্বাস, সে অযথা অপমানিত -সে অত্যাচারপীড়িত-সে কোনরূপে দোষী নহে। কাযেই উভয়ের মধ্যে যে ব্যবধান ছিল, তাহা কমিল না, বরং দিন দিন বাড়িয়াই চলিল । TBBDB DBDD DBBDB DBDBB BBB BBBDD DBDD DDDDSDS DDD ফিরিতে বিলম্ব হইবে ; আমার জন্য অপেক্ষা করিও না”—এই কথা তাহার নিত্য বক্তব্য হইয়া দাড়াইল, তখন মা আর স্থির থাকিতে পারিলেন না । এক দিন অপরাহ্রে মা পুত্রবধুর নিকটে আসিয়া বসিলেন। পুত্রবধু তখন পশম মিলাইয়া একটা গলাবন্ধ বুনিতেছিলেন। মা নিকটে আসিয়া বললেন, “মা, তোমাদের কি হইয়াছে ?” কুমুদমালা উত্তর দিল না ; মুখ নত করিয়া রহিল। মা পুনরায় বললেন, “মা, আমি যা ৩ দিন পারিয়াছি চুপ করিয়া ছিলাম কিন্তু আর চুপ করিয়া থাকবার সময় নাই। তাই আমি তোমাকে জিজ্ঞাসা করিতে আসিয়াছি। আর লজা করিবার সময় নাই।’