পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পাষণের কথা । 6 8S ן שלפאל ,אי$ן& বহুদিন পরে স্কন্দ গুপ্তকে দেখিয়া সৈনিকগণের উৎসাহ দ্বিগুণিত হইল, স্কন্দগুপ্তের নেতৃত্বে পঞ্চশত সৈনিক অবলীলাক্রমে হ্রণব্যুহ ভেদ করিয়া অরণ্যমধ্যে “প্রবিষ্ট হইল, পঞ্চাশংসহস্র হ্রণসৈনিক চিত্রের ন্যায় দণ্ডায়মান হইয়া দেখিল, সেই পঞ্চশতের গতিরোধ তাহাদিগের সাধ্যাতীত । কেহ কেহ অরণ্যমধ্যে তাহাদিগের অনুসন্ধান করিতে চেষ্টা করিল, কিন্তু সেই পঞ্চশতের পশ্চাতে যাহারা অরণ্যে প্রবেশ করিয়াছিল তাহাদিগকে আর কেহ দেখিতে পাইল না। অদ্ধশতাব্দী পরে জলন্ধরে বা উজ্জয়িনীতে কুণরুদ্ধগণ বালকগণের নিকট স্কন্দগুপ্তের কোশলঘুদ্ধের কাহিনী বলিত ও শিশুদিগকে মন্ত্রমুগ্ধ করিয়া রাখিত । শতবর্ষপরে আর্য্যাবর্ত্তের মহিলাগণ প্রভাতে চুণরাক্ষসগণের কবল হইতে দেবতা, রমণী ও শস্যক্ষেত্রের ত্রাণকর্ত্তস্বরূপ স্কন্দগুপ্তের নাম স্মরণ করিতেন ; সুদূর বঙ্গদেশে ধীবর জ্যেষ্ঠগণ মহাবিপভ্রাতা স্কন্দ গুপ্তের নাম গান করিত ও ভক্তিজনিত অশ্রুজিলে তাহাদিগের বক্ষ প্লাবিত হইত । DDBBBDB DBDDB BDK SDB BBDD0 DBBBDDD BB BD DDD KBDD BDBD বর্ণনাতীত যন্ত্রণ বোধগম্য নহে । আলম্বন, স্তম্ভ ও সুচীর অভ্যন্তরস্থ স্থান ও তোরণগুলি বৃক্ষকাণ্ডে আচ্ছাদিত হইয়াছিল। তাহাতে অগ্নি প্রযুক্ত হইলে সরস তরুগুলি ধীরে ধীরে শুষ্ক হইতে লাগিল ও অগ্নি একবার প্রজালিত হইয়া উঠিলে তাহার শিখা গগন স্পর্শ করিল। তখন বুঝিলাম, প্রাচীন স্তুপের বিনাশের দিন আসিয়াছে । আতি মিদার কর্তৃক স্বহস্তে বহু যত্নে নির্ম্মিত দক্ষিণ তোরণের শীর্ষস্থিত ধর্ম্মচক্র সশব্দে ভূমিতলে পতিত হইল, উত্তর তোরণের অষ্টকোণ স্তম্ভ সশব্দে বিদীর্ণ হইয়া গেল, নানাস্থানে বেষ্টনীর স্তম্ভগুলি ধরাশায়ী হইল। লেলিহান অগ্নিশিখা আকাশ স্পর্শ করিল। ক্রমে বেষ্টনীর পার্শ্ববর্ত্তী বৃক্ষসমূহ প্রজলিত হইয়া উঠিল। বেষ্টনীর চতুষ্পাশ্ব হইতে বিদীর্ণ পাষাণের আর্ত্তিনাদ উত্থিত হইল, উত্তাপ আতি ভয়ঙ্কর হইয়া উঠিল। বর্ত্তালাকৃতি স্তপ কম্পিত হইতে লাগিল, সহস্ৰ সহস্ৰ বজনির্ঘোষের মিলিত ধ্বনির ন্যায় শব্দ পৃথিবী হইতে উথিত হইতে লাগিল। অগরাজুর বহুষত্বনির্ম্মিত স্তুপ, মহাস্থবিরের ভিক্ষালব্ধ অর্থে নির্ম্মিত স্তুপ, সিংহদত্তের প্রাণীপেক্ষ প্রিয়, তথ্যগতের শরীর একত্র সমাহিত হইতে চলিয়াছে। মহাশব্দে গর্ভগৃহ শরীব-নিধানের আধারের উপরে পতিত হইল। তদপেক্ষা ভীষণ শব্দে পাষাণনির্ম্মিত আৰ্দ্ধবর্ত্তল দ্বিধা হইয়া গেল। গুরুভার পাষাণ পতনের ও বিদারণের শব্দ সর্বগ্রাসী অগ্নির ধবংসসুচক শব্দকে ক্ষণিকের জন্য পরাস্ত করিল, ধূলি ও ধূমের স্তম্ভ নীল আকাশ স্পর্শ করিল।