পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ ১৩১৮ । পুরাতন প্রসঙ্গ।। ৮৩ ব্যাপার দেখিয়া তিনি একেবারে অবাক হইয়া গেলেন, বলিলেন, “আঁ্যা, তুমি । কাটিয়া দিয়াছ ; আর তারানাথ তাহা মঞ্জুর পর্য্যন্ত করিয়াছেন! তাই ত, তুমি বড় কম লোক নও।” এই প্রসঙ্গে আরও একটা কথা বলিতে পারি। কায়স্থাদিগের একটা চিরস্থায়ী গ্লানি তর্কবাচস্পতি মহাশয় তাহার অভিধানে ‘কায়স্থ।” এই শব্দ উপলক্ষ করিয়া সন্নিবেশিত করিয়াছিলেন । সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিতদিগের একটা উদ্ভট অনুষ্টভ, শ্লোক কাসস্থজাতির লোভ ও অর্থকার্পণ্য সম্বন্ধে প্রচলিত আছে। তাহার অভিধানে সেই শ্লোকটি দেখিয়া আমি তঁহাকে বিশেষ অনুরোধ করিয়া উঠাইয়া দিতে কহিলাম, প্রথমে তিনি রাজি হইলেন না, পরে অনেক করিয়া বলতে শেষ কালে রাজি হইলেন। আমার বোধ হয়, সেই সময়ে বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সহিত বহুবিবাহ সম্বন্ধে তাহান্ন তর্কবিতর্ক চলিতেছিল । শুষ্ঠামাচরণ বিশ্বাস বিদ্যাসাগরের ভক্ত ছিলেন । তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের সহিত শু্যাম বিশ্বাসের কিছু তীব্র ভাবে সেই উপলক্ষে তর্কবিতর্ক হইয়াছিল । সেই জন্য পণ্ডিত মহাশয় সমস্ত কায়স্থ জাতির ডপর চটিয়া গিয়াছিলেন, এবং কায়স্থ শব্দের ব্যাখ্যা লিখিতে বসিয়া রাগ সামলাইতে পারেন নাই। এটি কিন্তু আমার সম্পূর্ণ অনুমানিমাত্র । “যাহা হউক, হরিশ আমাকে যে ভোগ দিয়া খাইবার দোষারোপ করিয়াছিল সে কথাটি আমার সর্বদাই মনে পড়ে, এবং আমি আপনা। আপনি হাসি । আমি মনে মনে বেশ জানি যে, সাধারণতঃ লোকে আমাকে সংস্কৃতশাস্ত্রে যতদূর পারদর্শী ও পণ্ডিত মনে করে, আমি তাহার কিছুই নাহি। ফলতঃ আমার নিজের বিশ্বাস যে, আমার সংস্কৃতজ্ঞান কতকটা পল্লবগ্রাহিত যাহাকে বলে তদ্রদ্ধাপমাত্র। সুগভীর পাণ্ডিত্য কোন ও বিষয়েই আমার নাই, এটি আমার আন্তরিক অমায়িক বিশ্বাস । কিন্তু এই বিশ্বাসের বিষয় আমি আমার পূর্ব্বতন ছাত্র অবিনাশ চন্দ্র ঘোষের নিকট বলিবার উপক্রম করিয়াছিলাম। অবিনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের এম. এ. ; এখন গভমেণ্টের পেন্সন ভোগ করিতেছেন। তাহার পিতা ৮গিরিশ চন্দ্র ঘোষ ‘বেঙ্গলি” নামক সুপ্রতিষ্ঠিত ংবাদপত্র সংস্থাপিত করিয়া যায়েন, এবং আমার একজন বিশিষ্ট বন্ধু ছিলেন । এই পল্লবগ্রাস্ত্রী পাণ্ডিত্যের কথা বলায় অবিনাশ অত্যন্ত চটিয়া গেলেন এবং আমার মুখের উপরে বলিলেন-“এটা কি হচ্চে ? এটা কি affectation নাকি ? আমি থামিয়া গেলাম। আমি জানি যে, অবিনাশ আমার খুব ভক্ত, আমার বিদ্যাবুদ্ধি সম্বন্ধে তাহার বিশেষ শ্রদ্ধা। আমি কোন কালে