পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৪৭

SDDDDD BBDBEEE DBB BB S S SiEE DDD DD DDBDDBDS সমন্বিত। গুহার পরস্পর নিকটবর্ত্তী হার্য্য এবং প্রাসাদমালার ঘারে দিব্য বস্ত্রপরিহিত সশস্ত্র বানর সৈন্য অবস্থান করিয়া দ্বার রক্ষা করিতেছে। চারি দিক অগুরু ও চন্দনগন্ধে সুবাসিত। পথসমূহ মৈরেয় মধুগন্ধে আমোদিত । প্রাচীরগাত্র বিচিত্র ফটিক ও মণিখচিত। পাঠক, ঐ দেখুন, লক্ষ্মণ সেই বিচিত্র দ্বার অতিক্রম করিয়া কিষ্কিন্ধ্যার অন্তঃপুরের দিকে অগ্রসর হইতেছেন । , লক্ষ্মণ ক্রমে সপ্ত কুক্ষ অতিক্রম করিয়া আসিয়া সুবর্ণ ও রজত নির্ম্মিত মহামূল্য ? পর্য্যঙ্ক ও উৎকৃষ্ট আসন-শোভিত সুগ্রীবের একান্ত গুপ্ত অন্তঃপুর দেখিতে । পাইলেন । ( কিঃ-৩৩ ) লক্ষণ অন্তঃপুর-দ্বারে উপনীত হইয়া সুর-তাল-লয়-সম্পন্ন সুমধুর সঙ্গীত শ্রবণ করিতে লাগিলেন এবং উত্তম মাল্য ও বেশভূষা সম্পন্ন সুন্দরী প্রমদান গণকে দেখিতে পাইলেন। (কিঃ-৩৩) ইহাই অনার্য্য অৰ্দ্ধ সভ্যতার কেন্দ্রভূমি কিষ্কিন্ধ্যার চিত্র। এই চিত্র অস্বাভাবিক নহে। কিষ্কিন্ধ্যার বর্ণনা পাঠ করিলে স্বভাবতঃই মনে হয়, কিষ্কিন্ধ্যা একটি পর্বতগহবর এবং সুগ্রীবের গুপ্ত বিলাসকক্ষ আরও আভ্যন্তরীণ গুপ্ত স্থান ৷ লক্ষ্মণ যে সপ্ত। কক্ষ অতিক্রম করিয়াছিলেন তাহা পর্ব্বতের বিভিন্ন অংশ ও গহবর ব্যতীত আর কিছুই নহে; কেন না, লক্ষ্মণ কিষ্কিন্ধ্যার প্রবেশদ্বার অতিক্রম করিয়া গুপ্ত অন্তঃপুরে যাইতে যাইতে পথে অন্যাঙ্গ বানারগণের বাসস্থান (গৃহ) ও গিরি নদী সকল দেখিয়া গিয়াছিলেন। (কিঃ-৩৩) কিষ্কিন্ধ্যায় অনেক প্রাসাদ ও প্রাচীরের উল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায়। “বিন্ধ্যমেরু গিরি প্রখ্যৈঃ প্রাসাদৈনৈক ভূমিভিঃ ।” এইগুলি পর্ব্বতের স্বাভাবিক প্রস্তার-নির্ম্মিত প্রাসাদাকার গুহা ও প্রস্তন্নপ্রাচীর। এই সকল প্রাচীর ও গুহাপ্রাসাদের বর্ণনায় দেখিতে পাওয়া যায় যে, এগুলি সুবর্ণ, ক্রটিক ও মণিময় ছিল । অসভ্য অরণ্যচরদিগের পক্ষে রন্ধসংগ্রহ ঃসাধ্য বলিয়া মনে হয় না। ’ দাক্ষিণাত্যের বানর-সমাজ তখন এইরূপ আর্য সমাজের অনুকরণে ক্রমোন্নতির পথে অগ্রসর হইতে ছিল। ধ্যাহারা ইলোরা, অজন্তা প্রভৃতি গুহাবলীর বিচিত্রতা প্রত্যক্ষ করিয়াছেন, . তাহারা কিষ্কিন্ধ্যায় প্রাসাদ-প্রাচীর কল্পনানেত্রে দৰ্শন করিতে সমর্থ। ड्रेष्बन ।