পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৮ - অশোকের রাজকার্য্য ও শাসন-পদ্ধতি। ১৩৫ ത്ത পুত্রে অবস্থান করিয়া স্বয়ং সাম্রাজ্যের মধ্যস্থলবর্ত্তী রাজ্য-শাসন করিতেন । তদ্ভিন্ন উজ্জয়িনী, তক্ষশিলা, তোসলি ও সুবর্ণগিরি- এই চারিটি নগর অপর চারিটি বিভাগের প্রধান নগর ছিল। কলিঙ্গ গিরিলিপিদ্বয়ে এবং মহীশূরের ব্রহ্মীগিরি শৈললিপিতে সম্রাট উক্ত চারিটি বিভাগের শাসনকর্তৃগণকে কয়েকটি আদেশ প্রদান করিয়াছিলেন । তিনি এই সকল বিভাগের শাসনকর্ত্তাদিগকে আযপুতি ( আর্য্যপুত্র ) বা কুমার বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন । রাজকুমারগণ এই চারিটি বিভাগের শাসন কার্য্য সম্পন্ন করিতেন। অশোকের অনুশাসনসমুহের মধ্যে কেবলমাত্র একজন রাজকুমারের নাম দেখিতে পাওয়া যায় ; তাহার নাম তীবর। তবে সপ্তম স্তম্ভলিপিলিখিত “দ্যালকাণামপি চ মে” আমার পুত্রগণেরও - এই বাক্যে অনুমিত হয় যে, অশোকের অনেকগুলি সন্তান छिव् । বোধ হয়, তক্ষশিলার রাজকুমার পাঞ্জাব ও কাশ্মীর শাসন করিতেন । আফগানিস্থান প্রভৃতি সিন্ধুর পশ্চিমভাগবত্তী রাজ্যসকল হয় তা অন্য কোন বিভিন্ন কর্ম্মচারীর অধীনস্থ ছিল। মালব, গুজরাট, সুরাষ্ট্র, সম্ভবতঃ উজ্জয়িনীর শাসনকর্ত্তার অধীনে থাকিত । ‘অশোকাবদানে” ও “দিব্যাবদানে” লিখিত আছে, - বিন্দুসারের রাজত্বকালে অশোক তক্ষশিলার শাসনকর্তা ছিলেন এবং ‘মহাবংশে” লিখিত আছে, পিতৃসিংহাসন প্রাপ্ত হইবার পূর্বে তিনি উজ্জয়িনীর অধিপতি ছিলেন । সুতরাং বিন্দুসারের সময়ে ও রাজকুমারগণ তক্ষশিলা এবং উজ্জয়িনী শাসন করিতেন । পুরী জিলার ধাউলিতে যে কলিঙ্গ লিপিদ্বয় আবিষ্কৃত হইয়াছে, কেবলমাত্র সেই দুই অনুশাসনে তোসলির উল্লেখ আছে । সেই জন্য অনুমান হয়, তোসলি ধাউলির নিকটে অবস্থিত ছিল । অশোক নব বিজিত কলিঙ্গের শাসনভার তোসলির রাজকুমারের হস্তে অৰ্পিত ৰুরিয়াছিলেন । সুবর্ণগিরির রাজকুমার দাক্ষিণাত্যের অন্যান্য রাজ্য শাসন করিতেন। (CFAnto) শ্রীঅজরচন্দ্র সরকার।