পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৩১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** অন্ত শ্রীশ্রীজগন্নাথ দেবের রথ-যাত্রা । কয়েক দিন পূর্ব হইতেই ‘রখেতু বায়নং, দৃষ্ট পুনর্জন্ম ন বিস্তুতে’ এই মহাজনোক্তি স্বরণ করিয়া ধর্ম্মপ্রাণ হিন্দু যাত্রীর দল নানা দিগেদশ হইতে শ্রীক্ষেত্র পুরী অভিমুখে ধাবিত হইয়াছে। উৎকলে শ্রীক্ষেত্রে এ মহােৎসব যে দেখিয়াছে সে আর জীবনে তাহা ভুলিৰে না । ৪ লক্ষাধিকলোক মিলিত কণ্ঠে যখন ‘জয় জগন্নাথ জি কি জয়” উচ্চারণ করে। তখন সেই উৎসারিত ভক্তির উৎসে অবিশ্বাসীর হৃদয় ও প্লাধিত হইয়া উঠে। সমগ্র উৎকল দেশ প্রাচীন কাল হইতেই ধর্ম্মক্ষেত্র বলিয়া প্রসিদ্ধ; এই স্থানে গঙ্কোপাসকের তীর্থ ক্ষেত্রই বিরাজমান :-(.১ ) বিরজা মণ্ডল বা পার্ব্বতী ক্ষেত্র -বিজ্ঞাপুর বা যাজপুর—পুতসলিলা বৈতরণীতীরে (২) মহাবিনায়ক ক্ষেত্র-গণপতি ক্ষেত্র-ধান মণ্ডল রেলষ্টেশন হইতে কিয়দরে (vo );হরক্ষেত্র-একলিঙ্গ লিঙ্গেশ্বর বা ভুবনেশ্বর ( একাম্রবন ) (৪ ) অর্কক্ষেত্র বা পদ্মক্ষেত্র-কোণার্ক-এই সুপ্রসিদ্ধ কৃষ্ণপ্রস্তরনির্ম্মিত সূর্য্যমন্দির পুরী হইতে নয় ক্রোশ পূর্বোত্তরে &সাগরতীরে ( ৫ ) শ্রীক্ষেত্র-পুরুষোত্তম-পুরী। * - এই প্রধান পঞ্চতীর্থ ব্যতীত সাধারণ দেব মন্দির যে উড়িষ্যায় কত আছে কে তাহা গণনা করিবে ? তাই হণ্টার লিখিয়াছেন, শত শত দেবালয় এই প্রদেশের কীর্ত্তি বিস্তার করিতেছে। এমন গ্রাম বিরল যথায় উৎকৃষ্ট জমিগুলি দেবোত্তর নহে। প্রতি নগরে বৃহৎ মন্দির ও প্রতি গ্রামে দেবালয় বিরাজমান। এই ধর্ম্ম প্রবণতার স্রোত পার্ব্বত্য অঞ্চলের দিকেও প্রধাবিত, ছিল বৃহৎ প্রত্যেক পর্ব্বতচূড়া দেবমন্দিরে অলঙ্কত। বৈদেশিকরাও এ দেশে আসিলে পবিত্র ১ ক্ষেত্রে উপস্থিত হইয়াছি, এই ভাব অনুভব করেন। এখনও উড়িয়া . কৃষক বলিয়া থাকে, প্রতিমা-নাশক মুসলমান বিজেতা এই স্থানে আসিয়া অপ্রতিভ হইয়া ফিরিয়াছে। কথিত আছে, জনৈক মুসলমান সেনাপতি মিলিয়াছিলেন,-( Y.) এ দেশ মানুষের উচ্চাভিলাষের বা জয় কাজক্ষার স্থান ফ্লাহ, ইহা দেবতার স্কুলীলাভূমি ; এক প্রান্ত হইতে অপর প্রান্ত পর্যন্ত এস্থানে ধর্ম্ম-যাত্রীরই অধিকাির। বিদেশীর মনেই যখন এই ভাব তখন তীর্থযাত্রী "ম পর্য্যটক হিন্দুর পক্ষে এই পূণ্য ভূমি কিরূপ অপুর্ব্ব শ্রীসম্পন্ন বলিয়া