পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (দ্বিতীয় বর্ষ - প্রথম খণ্ড).pdf/৪৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(গী দে মোপাসা ) মধ্যাহ্ন-রৌদ্রের খরতাপে অবসন্ন হইয়া আমি চক্ষু মুদ্রিত করিয়া সমুদ্রেয় , বিমল বিরাম উপভোগ করিতেছি, এমন সময়ে বার্ণার্ড মৃদুস্বরে বলিল, “সম্মুখেৱ । ঐ দ্বিমাস্তুল জাহাজখানির পাইলে বেশ হাওয়া পাইয়াছে।” সত্য বটে’অ্যাগের সম্মুখভাগে সাগরের অপর পাশ্ব হইতে একখানি দ্বিমাস্তল । জাহাজ আমাদের দিকে অগ্রসর হইতেছিল। আমি দূরবীক্ষণ যোগে স্পষ্ট । দেখিতে পাইলাম যে, বাতাসে ফুলিয়া সেই জাহাজখানির ভরা পাইল গোলাকৃতি । ধারণ করিয়াছে । O রেমণ্ড অবজ্ঞাভাবে বলিল, “ইস, ও ত অ্যাগের দিকের বাতাস। রু । অন্তরীপের কাছে একেবারেই বাতাস নাই ।” বার্ণাড উত্তর দিল, “যাহা খুলী বল ; দেখিও পশ্চিমে বাতাস বহিবে।” ৰ আমি দেহ অবনত করিয়া পোতকক্ষস্থিত বায়ু মানযন্ত্র নিরীক্ষণ করিতে । লাগিলাম ; দেখিলাম, পারদস্তম্ভ আৰ্দ্ধঘণ্টা মধ্যেই অনেকটা নামিয়া গিয়াছে। । বার্ণাড শুনিয়া আমার কাণে কাণে বলিল, “মহাশয়। পশ্চিমে বাতাসের মতই । বোধ হইতেছে।” এখন আমারও কৌতুহল জাগরিত হইয়া উঠিয়াছে। বিশেষতঃ সমুদ্র- ; বক্ষে যাহারা বিচরণ করে, তাহারা সকলেই এইরূপ কৌতুহলগ্রস্ত। এই | কৌতুহলের বশবর্ত্তী হইয়া তাহারা সকল বিষয়ই লক্ষ্য করে-সকল বিষয়ই । মনোযোগের সহিত পর্য্যবেক্ষণ করে, সামান্য সুন্মাংশেও তাঁহাদের ঔৎসুকা । উদ্দীপ্ত হইয়া থাকে। চক্ষু হইতে দূরবীক্ষণ যন্ত্র আর অপস্থত করিতে পারি- ; তেছি না। আমি অভিনিবেশপূর্বক দিগন্তবিস্তারী জলরাশির বর্ণ নিরীক্ষণ করিতেছি। বারিরাশি পুর্বেরই মত উজ্জল, মন্থণ ও বীচিবিক্ষোভশূন্য। যদি বাতাস আইসে তবে তাহা এখনও বহু দূরে রহিয়াছে। নাবিকদিগের উপর বায়ুদেবতার কি আশ্চর্য্য প্রভাব ! আহারা বায়ুকে । মনুষ্যধর্ম্মৰ্পণ করিয়াই ক্ষান্ত থাকে না। বায়ু তাহাদের নিকট অধ্যা- ?