পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tuqyi, »'O»ʻ शुङ्ग-विलन ܬ ܘ ܠ একজন কর্ম্মচারী যাইয়া তাহাকে ডাকিয়া আনিল। রাজা ক্রোধব্যঞ্জক স্বরে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি এই বালকের দ্রব্য লইয়া মূল্য দাও নাই ?” প্রহরী প্রস্তুত হইয়া আসিয়াছিল, রাজাকে অভিবাদন করিয়া বলিল, “আপনার ভূত্য এমন কায করিতে পারে না। বালক অত্যধিক মূল্য চাহিয়াছিল। আমি তাহাকে বলিয়াছি, অবশিষ্ট ফলটি সে যে মূল্যে বিক্রয় করিতে পরিবে, আমি সেই মূল্য দিব।” রাজা বুঝিলেন, চতুর বটে। তিনি মনে মনে হাসিলেন, বলিলেন, “সে ভাল কথা ।” তখন মূল্যনিরূপণের জন্য ভাণ্ডারীর ডাক পড়িল । ভাণ্ডারী আসিলে রাজা তাহাকে ফলটি দেখাইয়া তাহার মূল্য জিজ্ঞাসা করি।- লেন। যে কর্ম্মচারী ভাণ্ডারীকে ডাকিতে গিয়াছিল, সে তাহাকে সব কথা বলিয়াছিল। প্রহরীর সুবিধার জন্য ভাণ্ডারী। ফলের মূল্য কম করিয়া বলিল। সে মূল্যের কথা শুনিয়া বালক কঁাদিয়া উঠিল। রাজা তাহাকে শান্ত হইতে বলিয়া ভাণ্ডারীকে বলিলেন, “রাজসংসারের জন্যও অবশ্য এ ফল ক্রয় করা হয় ?” ভাণ্ডারী স্বীকার করিল। রাজা ভাণ্ডারীকে হিসাব আনিয়া সে কত মূল্যে ঐ ফল ক্রয় করিয়াছে, তাহা দেখাইতে বলিলেন। ভাণ্ডারীর মস্তকে যেন আকাশ ভাঙ্গিয়া পড়িল। এমন বিপদেও মানুষ পড়ে । কিন্তু আর উপায় নাই। ভাণ্ডারী হিসাব আনিয়া দেখাইল । হিসাব দেখিয়া রাজা বলিলেন, “ভাণ্ডারী ফলটির যে মূল্য নির্দেশ করিয়াছে, হিসাবে লিখিত মূল্য তাহার চতুগুণ। রাজসরকারের জন্য ভাণ্ডারী ক্রয় করিলে যদি দ্রব্যের মূল্য চতুগুর্ণ হয়, তবে রাজা আপনার জন্য স্বয়ং ক্রয় করিলে দ্রব্যের মূল্য ভাণ্ডারীদত্ত মূল্যের চতুগুর্ণ হওয়া অসম্ভব নহে। ফলটি আমি ক্রয় করিলাম। এই হিসাবে বালককে মূল্য দেওয়া হউক ৷” তাহার পর রাজা প্রহরীকে বলিলেন, “তুমি বলিয়াছ, বালক অবশিষ্ট ফলটির জন্য যে মূল্য পাইবে, তুমি তাহাকে তাঁহাই দিবে। আমি ভাণ্ডারীকে ষে মূল্য দিতে বলিলাম-তুমিও তাঁহাই দাও।” সমস্ত গৃহে যেন আনন্দের হিপ্পোল বহিয়া গেল। সকলে বুঝিল, রাজার বুদ্ধির নিকট আর সকলের বুদ্ধি পরাজিত হইল ; ভাণ্ডারীর অসাধুতা প্রতিপন্ন হইল,