পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ãማjፅ, ›o›ፃ | भigव्5e । Sèd _-ത്ത চিকিৎসক ও ম্যালেরিয়া সম্বন্ধে দুইএকখানি পুস্তক লিখিয়াছেন । এ প্রবন্ধে সে পুস্তকগুলির আলোচনা করিব না। এই শ্রেণীর পুস্তকে তিনটি অতি আবখ্যক বিষয়ের বিস্তৃত আলোচনা থাকে(১) পীড়ার নিদান, অর্থাৎ যে সকল কারণ হইতে পীড়ার উৎপত্তি হয় তাহা ; (২) পীড়ার লক্ষণ, বিকাশ ও পরিণতি বা শেষ ফল ; (৩) চিকিৎসা। এই তিনটির একটির অভাবে পুস্তক অঙ্গহীন হইয়া থাকে। ইহা ভিন্ন পীড়া-প্রাদুর্ভাবের ইতিহাস, জনসাধারণের উপর ইহার প্রভাব, আলোচ্য রোগের আনুষঙ্গিক পীড়া, আলোচ্য রোগোৎপত্তির অনুকুল ও প্রতিকুল অবস্থা, প্রতিষেধক উপায়, রোগিচর্য্যা, পথ্যাপথ্য, ইত্যাদি অনেক অবশ্য জ্ঞাতব্য বিষয় এই শ্রেণীর পুস্তকে লিখিত থাকে। গুপ্ত মহাশয় তাহার পুস্তকে এই জ্ঞাতব্য বিষয়গুলি বিশদভাবে আলোচনা করিয়াছেন দেখিয়া আমরা সুখী হইলাম। গুপ্ত মহাশয় তাহার পুস্তকের প্রথমেই ম্যালেরিয়া রোগের একটি ইতিবৃত্ত দিয়াছেন। তিনি প্রথমেই বলিয়াছেন, “ম্যালেরিয়া কবে আমাদের দেশে শুভাগমন করিল, এবং কত দিন হইতে সে “অতিথির মত আসিয়া কুটুম্বের মত রহিয়া গেল”-তাহা সঠিক জানিবার উপায় নাই।” তাহার পর তিনি শুশ্রুত, চরক প্রভৃতি বৈদ্যাক গ্রন্থ হইতে বচনাদি উদ্ধত করিয়া দেখাইয়াছেন যে, ঐ সকল গ্রন্থে এক প্রকার বিষম জরের উল্লেখ আছে,-ঐ রোগের লক্ষণের সহিত ম্যালেরিয়ার লক্ষণের কতকটা সৌসাদৃশ্যও আছে। সেই লক্ষণগুলির উপরেই নির্ভর করিয়া আমাদের দেশে প্রাচীনকালে ম্যালেরিয়া ছিল একথা নিশ্চিত বলা যায় না । “কেননা এই সকল জ্বরে ম্যালেরিয়ার অন্যান্য লক্ষণের উল্লেখ দেখা যায় না।” মুসলমান রাজত্বকালে এক একটি জনপদবিধ্বংসী ব্যাধি প্রকট মূর্ত্তি ধরিয়া বিশাল বিস্তৃত জনপদকে শ্মশানে পরিণত করিয়াছে, ইহার প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু তাহার লিপিবদ্ধ বিস্তুত বিবরণ না থাকায় তাহা ম্যালেরিয়া, প্লেগ অথবা অন্য কোন জনপদবিধ্বংসী ব্যাধি তাহার নির্ণয় করা কঠিন। পলাসীর যুদ্ধের পর প্রায় অৰ্দ্ধ শতাব্দী কাল মধ্যেও এদেশে ম্যালেরিয়ার কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায় নাই। সরকারী কাগজপত্রে এ রোগের কোনও সংবাদ পাওয়া যায় না। ১৮০৪ খৃষ্টাব্দে মুর্শিদাবাদে ও কাশিমবাজারে ভীষণ জাররোগের প্রাদুর্ভাব হয়। অল্পকালমধ্যে বহুলোক এই রোগে আক্রান্ত হইয়া শমনভবনে নীত হয়। সেইবার ম্যালেরিয়ার প্রথম পরিচয় পাওয়া গেল। তাহার পর বিশ বৎসর কাল নীরবে চলিয়া গেল। লোকে “মুর্শিদাবাদের মডুকের” কথা