পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আষাঢ়, ১৩:১৭, বিদুষী । »EO সে আপনাকে আপনি বুঝাইয়াছে, গৃহই যাহার কর্ম্মক্ষেত্র-তাহার পক্ষে জগতের বিশাল সাহিত্যের সহিত পরিচয় থাকে ভালই, না থাকে ক্ষতি নাই। তাহার জননী ও ভগিনী বিদূষী নহেন ; কিন্তু সেজন্য দুই পরিবারে কখন কোন অসুবিধা ঘটে নাই। তবে সে কেন রমার অভিপ্রায় না জানিয়াই তাহাকে বিদুষী করিবার চেষ্টায় “সুস্থ শরীর ব্যস্ত করিবে ?” তাহার এই চেষ্টা যে তাহার হৃদয়ে বিদুষীর আদর্শের অস্তিত্বজ্ঞাপক তাহ বলাই বাহুল্য । R তাহার পর রমা স্বামীগৃহে আসিল। সে সহজেই শাশুড়ীর স্নেহ অধিকার করিয়া বসিল, এবং সংসারের সর্বকার্য্যে তঁহার সহকারী হইয়া উঠিল। ব্রজেন্দু আফিসে চলিয়া যাইলে সুদীর্ঘ দিন-সে। শাশুড়ীকে “রামায়ণ, “মহাভারত’, ‘হরিবংশ” BD BDBDDSSDBBB BDB KYYYDBS BD DBDSS DBBBDBD TDDDD দাড়াইল যে, রামাও যেমন পিত্রালয়ে যাইয়া অধিক দিন থাকিতে পারিত না, তাহাকে ছাড়িয়াও তেমনই তাহার শাশুড়ী অধিক দিন থাকিতে পারিতেন না । ইহাতে ব্রজেন্দুর আনন্দের আর সীমা ছিল না। রাম যে তাহার জননীকে সুখী করিতে পারিয়াছে ইহাতে সে পরম পুলকিত হইয়াছিল। এদিকে রমাকে ভালবাসিয়া ও রামার ভালবাসা লাভ করিয়া ব্রজেন্দু আর কোন অভাবই বোধ করিত না । তাহার মনে হইত, তাহার সুখে কোথাও কোন অসম্পূর্ণতা নাই। সুরমা যখনই পিত্রালয়ে আসিত তখনই রমাকে লিখাপড়া করিতে বলিত। রম শ্বশুরালয়ে আসিবার বর্ষাধিককাল পরেও একবার পিাত্রালয়ে আসিয়া সুরম সে কথা বলিলে মা বলিলেন, “সংসারের অৰ্দ্ধেক কাব্যইত রমা করে। আবার আমাকে পড়িয়া শুনায়। আর কখন লিখাপড়া করিবে ? আর ব্রজেন্দুত কোন দিন পড়ার কথা বলে নাই ?” সেই দিন সুরমা তাহার বাড়ীর পাশ্বের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সেই কিশোরীর অধ্যয়নস্পৃহা সম্বন্ধে ব্রজেন্দুর প্রশংসার কথা বলিল । তাঙ্গার ফলে পরদিন স্বামিস্ত্রীতে যে কথোপকথন হইয়াছিল গল্পের আরম্ভে তাহার বিবরণ বিবৃত হইয়াছে। So সেই দিন রাত্রিকালে ব্রজেন্দু আবার রমাকে জিজ্ঞাসা করিল, “তুমি সংস্কৃত শিখিলে কবে ?” R