পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»vo আর্য্যাবর্ত্ত। ' Yx vé-or ማ፻፶፬ ! আর কোন প্রকারে সম্যক ঘূণা প্রকাশ করিয়া উঠিতে পারিতেছিল না। কিয়াৎ- “ কাল পরে দূরে নগররক্ষীর পদশব্দ শ্রবণে তাহারা অন্ধকারে মিলাইয়া গেল। পরদিন প্রভাতে যবন চতুষ্টয় অসংখ্য শ্রমজীবী সমভিব্যাহারে প্রান্তরে আসিয়া উপস্থিত হইল। শ্রমজীবিগণ তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া কার্য্যে - প্রবৃত্ত হইল । এক ভাগ প্রস্তরসমূহ আচ্ছাদনের নিমিত্ত পর্ণকুটীর নির্ম্মাণে প্রবৃত্ত হইল ; অপর ভাগ ভূমিতে গর্ত্ত খনন আরম্ভ করিল ও তৃতীয় ভাগ সঞ্চিত । শিলাখণ্ডসমূহ আকারানুসারে শ্রেণীবিভাগ করিতে লাগিল। সেই দিন অপরাহে একজন যবন মসৃণ চর্ম্মখণ্ড, মসী ও লেখনী লইয়া চিত্রাঙ্কনে প্রবৃত্ত হইল। যথাসময়ে চিত্রাবলী প্রস্তুত হইলে স্থবির ধর্ম্মযাজক আসিয়া তাহা পর্য্যবেক্ষণ করিতে লাগিলেন। যবনগণ কোশলের ও উদ্যানের ভাষা মিশ্রিত করিয়া “আপনাদের বক্তব্য তঁহাকে বুঝাইতে যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে লাগিল। যথাসময়ে অঙ্কিত চিত্র রাজার অনুমোদিত হইল। তখন বুঝিতে পারি নাই যে, আমাদেরই খণ্ডিত দেহসমূহ শতধা বিভক্ত হইয়া, সহস্ৰ সুতীক্ষ অস্ত্রাঘাত সহ্য করিয়া যেরূপ শ্রেণীবিন্যাসে ন্যস্ত হইবে এই চিত্রাবলী তাহারই । যথাসময়ে পর্ণশালা নির্ম্মিত হইল, আমাদিগের উৎপীড়ন আরব্ধ হইল। পাষাণ-দেহে যদি শোণিত থাকিত তাহা হইলে আমাদিগের শোণিত-প্রবাহে কোশল হইতে চোড়মণ্ডল পর্য্যন্ত সমগ্র ভূভাগ প্লাবিত হইয়া সমুদ্রগর্ভে লীন হইত। পাষাণের যদি শ্রবণস্পশী আর্ত্তনাদের ক্ষমতা থাকিত তাহা হইলে আমাদিগের আর্তনাদে হিমাচলের পদ কম্পিত হইত ; আর্য্যাবর্ত্ত হইতে দাক্ষিণাত্য পর্য্যন্ত সমগ্র ভূভাগ শদিত হইয়া উঠিত ; তোমরাও বহু পূর্বে আবিষ্কার করিতে যে, পাষাণেরও বেদন অনুভব করিবার শক্তি আছে । জীবনের প্রারম্ভে সমুদ্র-সৈকতে যে পর্যাদ্ধ পরাদ্ধ বালুকাকণা একত্র মিলিত হইয়াছিলাম, যাহাদিগের সহিত লক্ষ লক্ষ বর্ষ সমুদ্রগর্ভে, পর্ব্বতসানুদেশে একত্র বাস করিয়াছি তাহাদিগের মধ্যে কত সহস্ৰ কণা সুতীক্ষ লৌহের আঘাতে বিচ্ছিন্ন হইয়া গিয়াছে। তাহারা এখন সেই প্রান্তরে বাস করিতেছে। সে প্রান্তর এখন উর্বর শাস্তক্ষেত্রে পরিণত হইয়াছে, সে নদী শুষ্ক হইয়াছে ও তাহার জলস্রোতঃ অন্য পথে প্রবাহিত হইতেছে। এখনও কোল ও মুণ্ডা জাতি হলকর্ষণকালে আমাদিগের উৎপীড়কদিগকে অভিশাপ দিয়া থাকে ; কারণ, তাহাদিগের অঙ্গই দরিদ্র পাৰ্বত্য জাতির হলফলক অকালে ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া থাকে। বেদনা দুৱ হইলে দেখিয়াছি, অসম প্রস্তরশ্রেণী সমান্তরালে স্থাপিত হইয়াছে, তাহা হইতে স্তম্ভ, সুচি, আলম্বন, তোরণ প্রভূতি তোমরা যাহা কিছু দেখিয়াছ