পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ബS আর্য্যাবর্ত্ত । a 6-yary ܕܗܪ" চিত্রিতবৎ দেখাইতেছে। অদূরে কোথায় আম্রকুঞ্জে এখন ও মুকুল আছে, বাতাসে গন্ধ ভাসিয়া আসিতেছে। আমি বলিলাম, “কি সুন্দর রাত্রি ।” বলিয়াছি, আমরা চা’র বন্ধু মুর্শিদাবাদে গিয়াছিলাম। আমি ব্যবসাদার, একজন উকীল, একজন চিত্রকর, আর একজন কবি । কবিবন্ধু দ্বিজেশচন্দ্র চিত্রকর, বন্ধুকে বুলিলেন, “তুমিই ধন্থ। আমরা যাহা অনুভব মাত্র, করিতে পারি। যাহা জীবনের সুখ-স্বপ্নের মধ্যে পরিণত হইয়া যায়, যাহা ধরি। ধরি করিয়া ধরিতে পারি না। —“তোমরা তাহাকে চিত্রপটে স্থায়িত্ব দান করিতে পার ।” আমি শুনিতে লাগিলাম। সেই শুভ্রজ্যোৎস্নাপুলকিত যামিনী, সেই আম্রমুকুলগন্ধামোদিত – জাহ্নবীতরঙ্গসঙ্গশীতল সমীরণ বুঝি এই সব বন্ধুর কবিতারোগের মাত্রা বাড়াইয়া তুলিয়াছিল। তিনি চিত্রকর বন্ধুকে লক্ষ্য করিয়া বলিতে লাগিলেন,- “আর তোমরাই প্রকৃত সুখী । তোমরা যে স্থানেই যাও, সেই স্থানেই প্রকৃতির শত সৌন্দর্য্য লইয়া সব ভুলিয়া যাও । তোমাদের রচনা ভাষার কারাগারে বদ্ধ রহে না ; সকলেই তাহার সৌন্দর্য্য উপভোগ করিতে সমর্থ —” বন্ধু বলিয়া যাইতেছিলেন। কিন্তু উকীল বন্ধু চুরুট টানিতে টান্নিতেই বলিলেন,-“কিন্তু চিত্রকারের কি কোন দুঃখই নাই ?” আমি বলিলাম, “দুঃখটা কি ?” “মানস প্রতিমা যখন কিছুতেই চিত্রপটে ফুটিয়া উঠে না ? (কাব্য ছাড়িয়া আমি একটা সত্য ঘটনা বিবৃত করি । শুনিবে ?” আমরা সাগ্রহে বলিলাম, “শুনিব ।” “আমি ওকালতী পরীক্ষায় উত্তীণ হইয়া প্রথমে আলিপুরে ওকালতী করিতে আরম্ভ করি। কেন আলিপুর ছাড়িয়া হাইকোটো আসিয়াছিলাম, उदांई cडाभा१िcक दविद ।” R. আমরা শুনিতে লাগিলাম । বন্ধু বলিলেন ঃ “আমি ওকালতী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়া আলিপুরে নাম লিখাইলাম। কিন্তু প্রথম দিন উকিলাদিগের বসিবার ঘরে প্রবেশ করিয়াই আমার আশা সম্বন্ধে আমার ভ্রম আপনীত হইল । সে ঘর মক্ষিকাপুর্ণ মধুচক্রের মত ; তেমনই গুঞ্জন-মুখর, তেমনই পুর্ণ, বরং তাহাতে স্থানাভাব লক্ষিত হইল ।