পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৯৬ আর্য্যাবর্ত্ত।” ১ম বর্ধ-শুষ্ক সংখ্যা। করিয়া আশীৰ্বাদ করিয়াছে। কেহ যদি এখন ও পুরাতন রাজসাহী রাজ্যের সকল স্থান পরিভ্রমণ করিতে পারেন, তবে এইরূপ শত শত জলদান ব্রতের কীর্ত্তিস্তম্ভে রাণী ভবানীর সহৃদয় শাসননীতির পরিচয় প্রাপ্ত হইবেন ।” কেবল বাঙ্গালায় নহে, তৎকালে দুৱধিগম্য কাশীতে ও গয়াক্ষেত্রেও তাঁহার পুণ্য কীর্ত্তি বিদ্যমান। লোকহিতকল্পে হিন্দুর পবিত্রতীর্থ-মোক্ষধাম কাশীর সীমানিৰ্দ্ধারণ রাণী ভবানীর কীর্ত্তি। এই জনহিতৈষণার-এই আত্মত্যাগের-পূর্ণ পরিণতি “ছিয়াত্তরের মন্বন্তরের” সময় পরিলক্ষিত হইয়াছিল। তখন স্রোতস্বতী যেমন দিগন্তবিস্তৃত মরুভূমি স্নিগ্ধ ও উর্বর করিবার প্রাণান্ত চেষ্টায় আপনার সর্বস্ব দান করে, রাণী ভবানী তেমনই দেশব্যাপী দারুণ হাহাকার নিবারণ করিবার চেষ্টায় আপনার অতুল সম্পদ দান করিয়াছিলেন। সেবার তিনি সত্য সত্যই আপনার সর্ব্বস্ব দান করিয়া বিশ্বজিৎ যজ্ঞ সম্পাদনা করিয়াছিলেন । আলোচ্য পুস্তকে পাঠক রাণী ভবানীর এই সকল পূণ্য কীর্ত্তির বিবরণ পাইবেন। এই স্থলে পুস্তকের আর একটি বিশেষত্বের উল্লেখ করিব। যে চিরনবীন চঞ্চল প্রেম অধিকাংশ উপন্যাসের মেরুদণ্ড এ গ্রন্থে তাহার স্থান নাই। রাণী ভবানী এই গ্রন্থের নায়িকা। বলিয়াছি, দেশের লোক তঁহাকে মূর্ত্তিমতী দেবী বলিয়া মনে করিত ; তিনি মাতৃরূপিনী । সেই জন্য র্তাহার দাম্পত্যজীবনে লেখক চঞ্চল প্রেমের অনাবিল শ্রদ্ধায় পরিণতিই দেখাইয়াছেন। প্রেম জীবনের স্বপ্ন-শ্রদ্ধা জীবনের সাধনা ; প্রেম সুখ-শ্রদ্ধা শান্তি । প্রেমের চিরাচঞ্চল মানাভিমানবিতাড়িত প্রবাহে বৈচিত্র্য বিকশিত হয়। কিন্তু শ্রদ্ধার অচঞ্চল গাম্ভীর্য্য ব্যতীত সংসারিক বা আধ্যাত্মিক উন্নতি অসম্ভব। এ অবস্থায় গ্রন্থকার যে চঞ্চল প্রেমের চটুল সৌন্দর্য্য বর্ণনার প্রলোভন পরিত্যাগ করিয়াছেন, ইহা তাহার কৃতিত্বেরই পরিচায়ক। এখন পুস্তকের কয়টি ক্রেটির উল্লেখ করিব। প্রথম, ছাপার। ভুল। গ্রন্থে ছাপার ভুল অত্যন্ত অধিক। বিরামচিহ্ন, উদ্ধার চিহ্ন প্রভৃতির ভুল এত অধিক যে, মনে DB BB BDBDB D DBDYSSi DBDB BBD DDD DDD SS SSSSS Ku SDBBuS স্থানে “জড়িদার”, ২৩ পৃষ্ঠায় “দেউড়ীর” স্থানে “দেউৰী”, ৩৯ পৃষ্ঠায় “সান্তনা দান করিয়া” স্থানে “সাত্মনা করিয়া”, ১১৪ পৃষ্ঠায় “জিহবালেহন”, ১১৫ পৃষ্ঠায় “নাদির শাহের পাষাণ হৃদয়ের” স্থানে “পাষাণ নাদির শাহের হৃদয়, ১১৭ পৃষ্ঠায় “হৃদয়ের” স্থানে “হৃদয়ে হৃদয়ে” ১৩৬ পৃষ্ঠায় “কলরবেৱ” স্থানে “কলরবে।” ১৫৬ পৃষ্ঠায় “কর্ণের” স্থানে “কর্ণে কর্ণে” ২৫৮ পৃষ্ঠায় “সড়কিওয়ালার” স্থানে “সারকিওয়াল,” ২৬৪ পৃষ্ঠায় “শ্বেত-গুজ” প্রভৃতি সহজেই দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ২৯৯, পৃষ্ঠায়