পাতা:আর্য্যাবর্ত্ত (প্রথম বর্ষ).pdf/২৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वॉं, ১৩১৭ 1). আর্য্যাবর্ত্ত। ' SRat গর্জাপতিপুর (গাজিপুর) । গর্জাপতিপুর রাজ্য চক্রাকারে প্রায় ২ হাজার লি বিস্তৃত। ইহার রাজধানী গঙ্গাতীরবত্তী এবং ইহার পরিধি প্রায় ১০ লি। এই রাজ্যের অধিবাসিবর্গ ধনশালী। এই স্থানে নগর ও পল্লীসমূহ পরস্পর সংলগ্ন। এ রাজ্যের ভূমি উর্বর ও তাঁহাতে যথারীতি কৃষিকার্য্য হইয়া থাকে । এ দেশের জলবায়ুপ্রীতিকর, প্রকৃতিপুঞ্জ নির্ম্মলচরিত্র, ন্যায়ানুরাগী। কিন্তু উগ্রস্বভাব। এ দেশে সত্যধর্ম্মবলম্বী এবং অপধর্ম্মাবলম্বী উভয়বিধ লোকই দেখা যায়। বহুকাল পূর্বে হিমালয় পৰ্বতের উত্তর পার্শ্বে তুরখা দেশে দুই কি তিন জন শ্রমণ বাস করিতেন। তঁহাৱা জ্ঞানানুরাগী ছিলেন। তঁহার বৌদ্ধধর্ম্মকীর্ত্তিরাজি দর্শনের অভিপ্রায়ে ভারতবর্ষে আগমন করেন। কিন্তু ভারতীয়গণ অপরিচিত বিদেশীয় বলিয়া তঁহাদিগকে আশ্রয়দানে পরাজুখি হইয়াছিল। সেই জন্য ইহারা বহু কষ্ট ভোগ করেন। র্তাহারা অনাহারে বা অৰ্দ্ধাহারে এবং রৌদ্রবৃষ্টিতে শুষ্ককায় হইয়া পড়েন। এই অবস্থায় তাহারা গর্জাপতিপুর রাজ্যের রাজধানীতে উপনীত হয়েন। এক দিন পরিভ্রমণকালে রাজা তাহাদিগকে দেখিতে পায়েন এবং কৌতুহলপরবশ হইয়া তাহাদিগের পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। তাহাদিগের দুর্দশার কাহিনী শ্রবণ করিয়া তিনি ব্যথিত হয়েন এবং তঁহাদিগের বাসের জন্য একটি সজঘারাম নির্ম্মাণ করাইয়া দেন। এই সজঘারাম অদ্যাপি বিদ্যমান। ইহার প্রাচীরগাত্রে নিম্নলিখিত অনুশাসন-লিপি উৎকীর্ণ দেখিতে পাওয়া যায় ঃবুদ্ধের, ধর্ম্মের ও সঙ্ঘের অলৌকিক কৃপায় আমি দেশাধিপতির পদ লাভ করিয়াছি এবং মনুষ্যমধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠব্যক্তিরূপে সম্মানিত হইয়াছি। আমি মনুষ্যজাতির শাসনাধিকার লাভ করিয়াছি, এই জন্য বুদ্ধদেব ধার্ম্মিক ব্যক্তিমাত্রেরই রক্ষণের ও সন্তোষ-বিধানের দায়িত্ব আমার স্কন্ধে ন্যস্ত করিয়াছেন। আমি বিদেশীয়দিগের আশ্রয়ের জন্য এই সজঘারাম নির্ম্মাণ করিলাম। শ্রীরামপ্রাণ গুপ্ত ।